ফ্রিজ়ে রাখা খাবারও বেশি দিন ভাল রাখা যায় না। ছবি:সংগৃহীত।
ছুটির দিন ছাড়া হেঁশেলে ঢোকার সময় পান না অনেকেই। বাড়ির দায়িত্ব, অফিসের কাজ, ব্যক্তিগত ব্যস্ততা সামলে ইচ্ছা থাকলেও নিত্যনতুন রান্নার অবকাশ পাওয়া যায় না। অপেক্ষা করতে হয় সপ্তাহান্তের জন্য। আর সারা সপ্তাহ ফ্রিজ়ের খাবারই ভরসা। তবে রান্না করা খাবার ফ্রিজ়ে রেখেও যে কয়েক দিন চালিয়ে দেওয়া যাবে, বিষয়টি তেমনও নয়। কারণ বেশি দিন রাখলে ফ্রিজ়েও নষ্ট হয়ে যায় খাবার। পুষ্টিবিদেরা এমনিতেই ফ্রিজ়ের খাবার খেতে বারণ করেন। তবে সব দিক সামলাতে ফ্রিজ়ের উপর ভরসা রাখা ছাড়া দ্বিতীয় উপায়ও নেই। ফ্রিজ়ে রাখছেন মানেই খাবার দীর্ঘ দিন সতেজ থাকবে তা কিন্তু নয়। বিশেষ করে যে সব খাবার পচনশীল, ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা থাকে তেমন খাবার ফ্রিজ়ে না রাখলেই ভাল। রান্না করা খাবার ফ্রিজ়ে রাখা সত্ত্বেও ছত্রাক ধরার কারণ কী?
গরম খাবার ঠান্ডা না করে আমরা কেউই ফ্রিজ়ে তুলি না। খাবার খাওয়ার পর এই ঠান্ডা করা পর্যন্ত যে সময়টুকু থাকে সেই সময়েই বাতাসে মিশে থাকা, ধুলোবালি, আণুবীক্ষণিক জীবাণু, দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়ায়। ঠিক সে কারণেই টাটকা, রান্না করা খাবারের স্বাদ এবং ফ্রিজ়ে রাখা খাবারের স্বাদে ফারাক হয়ে যায়। খাবারে ছত্রাক ধরা আটকানোর উপায় কী? খাবারে ছত্রাক রোধ করবেন কী করে?
১) বায়ুনিরোধক কাচের পাত্রে খাবার ঢেকে রাখুন। যাতে বাইরের বাতাস ভিতরে না ঢুকতে পারে।
২) যে পাত্রে খাবার রাখবেন তা একেবারে শুকনো করে মুছে নিন। জল থাকলে খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
৩) মশলা দেওয়া, কষিয়ে রান্না করা খাবার সহজে করে নষ্ট হয় না। কিন্তু সেদ্ধ বা তুলনামূলক তেলমশলা কম দেওয়া খাবার বেশি দিন না রাখাই ভাল।
৪) যেটুকু খাবার খাবেন সেইটুকু নিয়ে বাকিটা তুলে রাখার চেষ্টা করুন। খুব ভাল হয় যদি আলাদা আলাদা কৌটোতে রাখতে পারেন।
৫) বেঁচে যাওয়া খাবার ফ্রিজ়ের সবচেয়ে উপরের তাকে রাখার চেষ্টা করুন। অন্যান্য জায়গার চেয়ে যেখানে তাপমাত্রা কম।