কত দিন অন্তর ওজন মাপা উচিত? ছবি: সংগৃহীত।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়ম করে শরীরচর্চা করেন। নাকের ডগা দিয়ে পছন্দের খাবার ঘোরাঘুরি করলেও চেয়ে দেখেন না। এত ত্যাগ করে ওজনে কতটা হেরফের হল, তা দেখার জন্য অনলাইনে একটি যন্ত্র কিনে ফেলেছেন। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা ঘুমোতে যাওয়ার সময়ে ওজন মাপাটা প্রায় অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওজনে তেমন কোনও পরিবর্তন না চোখে পড়লে মনখারাপ হয় অনেকেরই। শরীরচর্চা, ডায়েট করার ফলে আদৌ ওজন কমল কি না, তা জানতে কত দিন অন্তর ওজন করা উচিত?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রোজ, সকাল-বিকাল যন্ত্রে উঠে দাঁড়ালে বিশেষ তফাত কিন্তু নজরে পড়বে না। সঠিক ভাবে ওজন পেতে হলে সপ্তাহে এক বার মাপাই যথেষ্ট। তার নেপথ্যেও বেশ কিছু কারণ রয়েছে।
১) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সপ্তাহে এক বার করে ওজন মাপলে এই সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। রোজ ওজন মাপলে যে আলাদা করে মারাত্মক কোনও পরিবর্তন দেখা যাবে, তা নয়। এক সপ্তাহের মধ্যে ওজনে মারাত্মক কোনও হেরফের দেখলেও আগে থেকে সতর্ক হওয়া যায়।
২) রোজ মাপতে গেলে দেহের প্রকৃত ওজন সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া একটু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, জল খাওয়ার পরিমাণ একটু বেশি হয়ে গেলেও তা দেহের মোট ওজনের উপর প্রভাব ফেলে। রাতে কী খাচ্ছেন, তার উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে। আগের দিন রাতে কার্বহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খেলেও পরের দিন ওজন বেড়ে যেতে পারে।
৩) খাবার পরিপাকের জন্য যেটুকু সময় দেওয়া প্রয়োজন, সেইটুকু সময় ব্যয় না করলে সঠিক ভাবে ওজন পরিমাপ করেও কোনও লাভ হবে না। খাওয়ার আগে বা পরে ওজন মাপলে কমবেশি হবেই।
সঠিক ওজন পেতে হলে সপ্তাহে এক বার মাপাই যথেষ্ট। ছবি: সংগৃহীত।
৪) জিমে বেশ খানিক ক্ষণ শরীরচর্চা করার পরেই ওজন মাপলে খুশি হবেন। কারণ, শরীর থেকে ঘাম বেরিয়ে গেলেও ওজন সাময়িক ভাবে কমে যাবে। একই রকম পরিবর্তন হবে মল-মূত্র ত্যাগ করার পরেও।
৫) শরীরে হরমোনের হেরফের হলেও ওজনে পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। প্রতি মাসে ঋতুচক্রের সময়ে শরীরে ফ্লুইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। যার ফলে ওই সময় ও তার আশপাশের ওজন এক থেকে দু’কেজি বেড়ে যেতে পারে।