তিসি খেলে হাড় মজবুত হয়? ছবি: সংগৃহীত।
নির্দিষ্ট একটা বয়সের পর হাড়ের ক্ষয় হবেই। তা রুখতে অনেকেই বাইরে থেকে সাপ্লিমেন্ট খান। তবে এই সমস্যা অনেকটাই সামলে দেওয়া যায় সুষম খাবার খেয়ে। দুধ কিংবা দুগ্ধজাত খাবারের মধ্যে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ বেশি। কিন্তু অনেকের পেটেই তো দুধ সহ্য হয় না। সে ক্ষেত্রে কী করণীয়? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে পারে ফ্ল্যাক্স সিড বা তিসি। হার্টের পাশাপাশি হাড় ভাল রাখতে ডায়েটে রোজ সামান্য হলেও তিসির বীজ রাখতে হবে।
ফ্ল্যাক্স সিড বা তিসির বীজে কী এমন আছে?
‘জার্নাল অফ এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড রিসার্চ’-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিসির মধ্যে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, কপার, ফাইবারের মতো উপাদান। এই সমস্ত উপাদান হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
‘জার্নাল অফ ফুড বায়োকেমিস্ট্রি’তে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বয়সজনিত হাড় সংক্রান্ত রোগ বশে রাখতেও সাহায্য করে। রজোনিবৃত্তির পর মহিলাদের হরমোনের হেরফের হওয়া স্বাভাবিক। যার প্রভাবে হাড়ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে 'লিগনিন' নামক একটি উপাদান। যা রজোনিবৃত্তির পরেও মহিলাদের শরীরে হরমোনের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে হাড়ের ঘনত্ব বজায় থাকে।
তিসির বীজ কী ভাবে খাবেন?
শুকনো খোলায় তিসি ভেজে গুঁড়ো করে রাখতে পারেন। স্মুদি, দুধ-কর্নফ্লেক্স কিংবা দুধ-ওট্সে ভিজিয়ে খাওয়া যায়। ভাত খেয়ে অনেকেই ইয়োগার্ট বা দই খেতে পছন্দ করেন। চাইলে সেই দইয়ের মধ্যেও তিসির গুঁড়ো মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। স্যালাডে অলিভ অয়েলের বদলে তিসির তেল ব্যবহার করতে পারেন।