ইডলি, দোসা বেশি খেলেও বিপদ? — ফাইল চিত্র।
সকালের জলখাবারে রোজ দুধ-ওট্স খেতে কার ভাল লাগে? স্বাদ বদল করতে মাঝেমধ্যে দক্ষিণী খাবারও খাওয়া হয়। তেলমশলা বিশেষ নেই, পেটের জন্য ভাল। রাস্তার ধারে তৈরি রোল, চাউমিন কিংবা মোমোর চেয়ে এই ধরনের ফার্মেন্টেড খাবার যে ভাল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আপাত ভাবে স্বাস্থ্যকর হলেও সকলের জন্য এই ধরনের মজানো বা ফার্মেন্টেড খাবার উপযুক্ত নয়। নিয়মিত ইডলি, দোসা খেলে গ্যাস, পেটফাঁপা, ডায়েরিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, মাপ মতো চাল, ডালের পাশাপাশি দোসা বা ইডলির মিশ্রণ ফাঁপানোর জন্য অনেকেই এর মধ্যে ইস্ট বা বিশেষ এক ধরনের ছত্রাক ব্যবহার করেন। এই ধরনের ছত্রাক থেকেই পেটের সমস্যা শুরু হয়। আয়ুর্বেদও এই ধরনের খাবার রোজ খাওয়ার বিরোধী। দোসা বা ইডলির মিশ্রণের মূল উপাদান হল চাল এবং বিউলির ডাল। এই ডালটি খুব ভারী। তা ছাড়া বিউলির ডাল খেলে অনেকেরই গ্যাস, অম্বল হয়। মজানো খাবার অন্ত্রের জন্য ভাল। কিন্তু এই ধরনের খাবার রোজ খেলে হিতে বিপরীত হতেই পারে। ইদানীং আবার কাজের সুবিধার জন্য চাল-ডাল বাটার ঝক্কি ছাড়াই ইডলি-দোসার ‘রেডি টু কুক’ মিশ্রণ ব্যবহার করেন। এই ধরনের খাবার দীর্ঘ দিন ভাল রাখার জন্য এর মধ্যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। সেখান থেকেও সমস্যা বাড়তে পারে।
ইডলি বা দোসা যদি খেতেই হয়, তা হলে কী কী মাথায় রাখবেন?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পেট ভাল রাখতে চাইলে দোসা বা ইডলির মিশ্রণ বাড়িতে তৈরি করে নেওয়াই শ্রেয়। বাজারজাত ‘রেডি টু কুক’ মিশ্রণগুলি দীর্ঘ দিন ভাল রাখার জন্য এর মধ্যে রাসায়নিক দেওয়া হয়। এই ধরনের খাবারে নুন, চিনির ব্যবহারও বেশি। তাই সপ্তাহে দু-এক বারের বেশি এই ধরনের খাবার খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে যাঁদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে, তাঁরা এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চললেই ভাল।