বিরাট কোহলি কী খান জানেন? ছবি: সংগৃহীত।
সমালোচনা, বিতর্কের মুখে পড়েছেন বার বার। পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। তার পরেও বুঝিয়ে দিয়েছেন, হারেন না বিরাট কোহলি। ২০২৪ সালে আইপিএলে সর্বোচ্চ রানের অধিকারী তিনি। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বার বার দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন তিনি। ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন অধিনায়কের ফিটনেস নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সমালোচনাও হয়েছে।
মঙ্গলবারই তিনি ৩৬-এ পা দিলেন। খাতায়কলমে তাঁর বয়স বাড়লেও, ফিটনেস দেখে তা বোঝার উপায় নেই। ডায়েট এবং শরীরচর্চা নিয়ে ভীষণ সচেতন তিনি। কিন্তু জানেন কি, বিরাটের সুস্থতার নেপথ্যে শুধু পুষ্টিকর খাবার নয়, রয়েছে রন্ধনপ্রণালীও?
একটি সাক্ষাৎকারে বিরাট জানিয়েছেন, তিনি যা খান, তার ৯০ শতাংশই সেদ্ধ। তাতে কোনও মশলা থাকে না। শুধু নুন আর গোলমরিচ দিয়েই খেয়ে নেন।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে, দিনের পর দিন সেদ্ধ খেতে আদৌ ভাল লাগে কি? বিরাটের কথায়, ‘‘স্বাদ নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। স্যালাড খেলে তার সঙ্গে সামান্য ড্রেসিং (স্বাদ বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত উপাদান) থাকে। অন্যান্য খাবার অলিভ অয়েলে গ্রিল করে খাই।’’
শুধু তা-ই নয়, কোনও রকম তরকারি বা ঝোল দেওয়া খাবারই তিনি খান না। শুধু পাতে রাখেন সেদ্ধ বা ফোড়ন দেওয়া ডাল। তবে, বিরাট পঞ্জাবি। সে কারণেই পঞ্জাবিদের পছন্দের রাজমা, ‘হনুমান কলাই’ (ব্ল্যাক আইড বিন) থাকে তাঁর পাতেও।
এখন আর আমিষ খান না বিরাট। নিরামিষ খেলেও প্রোটিন বাদ পড়ে না তাঁর পাতে। ফিটনেস নিয়ে তাঁর পরামর্শ, খাবারের তালিকায় সঠিক মাত্রায় ভিটামিন, জল বা তরল খাবার এবং প্রোটিন রাখতেই হবে। খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে।
সুস্বাস্থ্যের পিছনে ডায়েট খুব জরুরি। তবে তার সঙ্গে শরীরচর্চাও গুরুত্বপূর্ণ। বিরাটের কথায়, জিমে গিয়ে শরীরচর্চা অনেকেই করেন। তবে সমস্যা হয় খাওয়া নিয়ে। প্রত্যেকেরই স্বাদের চাহিদা ভিন্ন। জিভ যা চায়, মন তা চায় না। তা নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। তবে তিনি খাবারের স্বাদ নিয়ে ভাবেন না। টানা ছ’মাস তিন বেলা একই খাবার দিলেও খেতে আপত্তি করেন না বিরাট।