রান্নার ভুলেই নষ্ট হয় খাবারের পুষ্টিগুণ। ছবি: সংগৃহীত।
খাওয়াদাওয়ার উপর শরীরের ভালমন্দ নির্ভর করে। সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। তবে শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই হবে না, রান্না করার সময়ও সাবধানী এবং সচেতন থাকতে হবে। কারণ রান্নার কিছু ভুলেই শরীরে নানা প্রভাব পড়ে। ভুল পদ্ধতিতে রান্না করলে তার পুষ্টিগুণহীন হয়ে পড়ে স্বাস্থ্যকর খাবারও। রান্নার সময় কোন দিকগুলিতে বাড়তি নজর দেওয়া জরুরি?
পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
খাবারের স্বাস্থ্যগুণ অক্ষুণ্ণ রাখতে রান্নার সময় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। সব্জি কাটা থেকে শুরু করে রান্না করা পর্যন্ত হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। রান্নার পরে যে পাত্রে খাবার তুলে রাখছেন তাতে যেন ময়লা না থাকে।
সংরক্ষণে সাবধানতা
বাজার থেকে আনাজ এবং সব্জি কিনে আনার পর সেগুলি প্লাস্টিকে জড়িয়ে ফ্রিজে রাখবেন না। সব্জি জলধোয়া করার পর সরাসরি ফ্রিজেও ঢোকাবেন না। জল শুকিয়ে তার পরে ফ্রিজে তুলে রাখুন। তাতে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ভয় থাকবে না।
টুকিটাকি ভুল
কাঁচা মাছ ধুয়ে পরিষ্কার করে নুন-হলুদ মাখিয়ে ফ্রিজে রাখবেন। তবে জ্যান্ত মাছ কিনে এনে তা ফ্রিজে কয়েক দিন রেখে খেলে জ্যান্ত মাছ কেনার উদ্দেশ্যই ক্ষুণ্ণ হয়। দুগ্ধজাত জিনিস কেনার পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবহার করে ফেলবেন। ফল তাজা অবস্থায় খেয়ে নেওয়াই ভাল।
কিছু খাবার যেমন রান্না করার পর স্বাস্থ্যগুণ হারায়। তাই কিছু খাবার সাবধানে রান্না করা জরুরি?
রসুন
শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা— সারা বছর সুস্থ থাকতে রসুনের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখা যায়। মাছের কালিয়া, কষা মাংস রান্না রসুন ছাড়া অসম্পূর্ণ। রসুনে রয়েছে অন্যতম উপকারী উপাদান অ্যালিসিন। তবে রান্না হয়ে যাওয়ার পর রসুনের স্বাস্থ্যগুণ সমস্ত নষ্ট হয়ে যায়। তাই গরম ভাতে কাঁচা রসুন খেতে পারেন। সুফল পাবেন।
দই
প্রোবায়োটিক উপাদান সমৃদ্ধ দই হজমের গোলমাল ঠেকাতে অত্যন্ত কার্যকরী। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। পুষ্টিবিদেরা তাই রোজ দই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। শুধু টক দই খাওয়া সত্যিই উপকারী। অনেকেই রান্নায় টক দই ব্যবহার করেন। তবে রান্নায় টক দইয়ের ভূমিকা শুধুই স্বাদ বাড়ানো। তার চেয়ে খাওয়ার পর এক বাটি টক দই খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
টম্যাটো
রান্নায় টম্যাটো দিলে স্বাদ বেড়ে যায়। তবে রান্নার পর টম্যাটোতে থাকা ভিটামিন সি-র পরিমাণ অনেক কমে যায়। উচ্চ তাপে টম্যাটোর আরও অনেক পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। টম্যাটো কাঁচা খাওয়াই সবচেয়ে ভাল।