ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ার জন্য দায়ী ‘ডিডিকে-১’ নামক যৌগ। প্রতীকী ছবি।
দেহের সব কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্ক। তাই মস্তিষ্কের কিছু হলে মোটামুটি শরীরের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাই ভেঙে পড়ার কথা। তার উপর যদি ক্যানসারের মতো কোনও রোগের নাম মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত হয়, চিকিৎসকদের ক্ষেত্রেও তা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, মস্তিষ্কের ক্যানসারের ক্ষেত্রে চিকিৎসার খুব বেশি বিকল্প নেই। বেশির ভাগ ওষুধ ক্যানসারের মেটাস্টেসিসের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্যই তৈরি হয়েছে। কিন্তু মস্তিষ্কের রক্তে এই কোষ মিশে কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে না। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্তন ক্যানসার নিয়ে গবেষণারত সোফিয়া মেরাজভার বলেন, “মস্তিষ্কের মধ্যে বিভিন্ন প্রকোষ্ঠতে কী ভাবে ক্যানসার কোষ ছড়িয়ে পড়ে, তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করাই আমাদের লক্ষ্য। যাতে মস্তিষ্কের ক্যানসারের চিকিৎসায় এই গবেষণা সহায়তা করতে পারে।”
শুরুতেই সোফিয়া এবং তাঁর সহকর্মীরা ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর মস্তিষ্কে দু’টি মাইক্রোফ্লুইড চিপ প্রতিস্থাপন করে দেন। কী ভাবে ক্যানসার আক্রান্ত কোষ শরীরের এক জায়গা থেকে প্রবাহিত হয়ে মস্তিষ্কে প্রবেশ করে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্যই এই গবেষণা করা হয়। ‘অ্যাডভান্সড ন্যানোবায়োম্ড রিসার্চ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এই গবেষণা।
শরীরের অন্যত্র হওয়া ক্যানসার কোষের মধ্যে ‘ডিডিকে-১’ নামক এক ধরনের ‘সাইটোকাইন’ রাসায়নিকের উপস্থিতি টের পেয়েছেন গবেষকরা। তাঁদের মতে, এই রাসায়নিকটিই ক্যানসার আক্রান্ত কোষগুলিকে শরীরের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় প্রবাহিত হতে উদ্বুদ্ধ করে। ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ার জন্যও কিন্তু দায়ী এই ‘ডিডিকে-১’ নামক যৌগ।