শরীর আর মনের সংযোগ সব সময়েই অনেক গভীর।
অবসাদ নিয়ে কথা হয় এখন যথেষ্টই। তার কারণ হিসাবে কখনও কাজের চাপ, কখনও আবার পারিবারিক সমস্যা। সব ক্ষেত্রেই ধরে নেওয়া হয় মানসিক চাপই ডেকে আনে অবসাদ। তাই যোগ অভ্যাস করতে বলা হয়, নেটমাধ্যম থেকে মাঝেমধ্যে দূরে থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়। কিন্তু গবেষণা বলছে, অবসাদের কারণ হতে পারে আরও অনেক কিছুই।
পেটের স্বাস্থ্য সে সব কারণের মধ্যে অন্যতম। প্রাচীন সময়ের কিছু কথা সকলেরই মনে থাকবে। তার মধ্যে একটি হল, শরীর ভাল থাকলেই মন ভাল। অর্থাৎ, শরীর আর মনের সংযোগ সব সময়েই অনেক গভীর। তাই শরীর খারাপ হলে মনের উপর চাপ পড়বেই। তা ডেকে আনতে পারে মনের অসুখও।
অবসাদের জন্য সম্পর্ক, কাজ, বিয়ে, বিচ্ছেদ, পারিবারিক ধারাকে দায়ী করা হয়েই থাকে। ঠিক সে ভাবেই দায় থাকে খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসেরও। এমনই দাবি চিকিৎসকদের।
কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্বল, গ্যাস, ফেট ফেঁপে থাকার মতো সমস্যা কমিয়ে দিতে পারে সেরোটনিনের ক্ষরণ।
স্নায়ুর অবস্থার উপর নির্ভর করে মানসিক অসুখ। স্নায়ু গোটা শরীরের নানা অংশের সঙ্গে যুক্ত করে মস্তিষ্ককে। গবেষকরা দেখেছেন, মন ভাল রাখার হরমোন, সেরোটনিনের ৮০ শতাংশ তৈরি হয় পেটেই। ফলে হজমের গোলমাল, কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্বল, গ্যাস, ফেট ফেঁপে থাকার মতো সমস্যা কমিয়ে দিতে পারে সেরোটনিনের ক্ষরণ। আর সেই হরমোনের ক্ষরণ যত কমবে, ততই বাড়বে থাকবে মানসিক সমস্যা।
এমনকি, সেখান থেকেই তৈরি হতে পারে অবসাদও!