IBS

IBS Remedies: সকালে পাত্তা নেই, আবার কাজের মাঝেই হঠাৎ তীব্র বেগ! আইবিএস সারাবেন কী ভাবে

কখনও কোষ্ঠকাঠিন্য, আবার কখনও পেটের গোলমাল। এমন অবস্থা বাঙালির ঘরে ঘরে। কী করে নিস্তার পাবেন?

Advertisement

সুজাতা মুখোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২২ ১৬:১৬
Share:

এ রোগ বিপজ্জনক নয়, সাবধানে চললে সমস্যা কম থাকে৷ ছবি: সংগৃহীত

ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস কোনও জটিল অসুখ নয়৷ কিন্তু ঘুরে–ফিরে আসে বলে নাজেহাল করে বিস্তর৷ কোথায়, কখন পেট গুড় গুড় করবে বা পেটব্যথা-গ্যাস হবে, কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেটখারাপ হবে, তা কেউ জানে না৷ আবার কখন হঠাৎ সব ঠিক হয়ে যাবে, তা-ও বোঝা মুশকিল৷ ওষুধপত্রে রোগ বশে থাকলেও পুরোপুরি সারে না৷

Advertisement

তবে সুবিধে হল, এ রোগ বিপজ্জনক নয়, সাবধানে চললে সমস্যা কম থাকে৷ কাজেই অহেতুক দুশ্চিন্তা না করে চিকিৎসা ও নিয়ম মানার পাশাপাশি ‘লো-ফডম্যাপ’ খাবার খাওয়া শুরু করুন, ভাল থাকতে পারবেন৷ এই ধরনের খাবার খেলে প্রায় ৭০ শতাংশ রোগী ভাল থাকেন বলে জানা গিয়েছে৷

Advertisement

যে সব খাবারে ওলিগোস্যাকারাইড, ডাইস্যাকারাইড ও পলিওল নামের কার্বোহাইড্রেট কম আছে, সেটাই হল ‘লো–ফডম্যাপ’ খাবার৷ কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া যাক৷

লো–ফডম্যাপ খাবার

১। প্রোটিন: চিকেন, ডিম, মাছ, চিংড়ি, টোফু, বিফ, ল্যাম্ব, পর্ক

২। গোটাদানা শস্য: ব্রাউন রাইস, শ্যামাদানা, ওট্স, কিনোয়া

৩। ফল: কলা, ব্লুবেরি, কিউয়ি, লেবু, কমলা, পেঁপে, আনারস, স্ট্রবেরি

৪। সব্জি: পালং, গাজর, বেল পেপার, বেগুন, টমেটো, বিন স্প্রাউট

৫। বাদাম ও বীজ: অ্যামন্ড, চিনে বাদাম, আখরোট, কুমড়ো–তিল–সূর্যমুখীর বীজ

প্রতীকী ছবি।

৬। দুগ্ধজাত খাবার: শেডার চিজ, ল্যাকটোজ ফ্রি দুধ, পারমেশন চিজ

৭। তেল: অলিভ অয়েল, নারকোল তেল

৮। পানীয়: ব্ল্যাক বা গ্রীন টি, কফি, জল

৯। অন্যান্য: লঙ্কা, আদা, সর্ষে, গোলমরিচ, তুলসী, রাইস ভিনিগার৷

কাজেই এই ধরনের খাবার বেশি খেতে হবে৷ কম খেতে হবে ‘হাই ফডম্যাপ’ খাবার, তথা গম, রাই, পেঁয়াজ, রসুন, দুধ, ইয়োগার্ট, নরম চিজ, বিভিন্ন ফল, বিশেষ করে ডুমুর, আম, লিচু, কালোজাম, মিষ্টি খাবার যেমন মধু, লো–ক্যালোরি সুইটনার৷ কারণ দেখা গিয়েছে, এই সব খাবারের মধ্যে কারও একটিতে সমস্যা হয়, কারও হয় একাধিকে৷ তবে কম করে খেলে সচরাচর বিপদ হয় না৷

তবে হঠাৎ করে খাবারে পরিবর্তন না করে এগতে হবে ধাপে ধাপে৷

লো–ফডম্যাপ ডায়েট করুন ধাপে ধাপে

ডায়েটের তিনটি ধাপ৷ প্রথম ধাপে ৩–৮ সপ্তাহ স্রেফ লো-ফডম্যাপ খাবার খেয়ে যেতে হয়৷ বাদ যায় সব রকম হাই–ফডম্যাপ খাবার৷ তাতে প্রথম সপ্তাহেই সুফল পান অনেকে৷ কারও ২–৩ সপ্তাহ বা আরও বেশি সময় লাগে৷

দ্বিতীয় ধাপে, কষ্ট কমার পর একটা করে খাবার তিন দিন অন্তর অল্প করে যোগ করা হয়৷ এবং লক্ষ করতে হয় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনও কষ্ট হচ্ছে কি না৷ না হলে খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হয়৷ তিন দিন সমস্যা না হলে একই নিয়মে নতুন আরও একটি খাবার অল্প করে যোগ করা হয়৷ এ ভাবে এগলে কোন খাবার আপনি খেতে পারবেন তা যেমন বোঝা যায়, কী পরিমাণে খেলে সমস্যা হবে না, তা-ও ধরা পড়ে৷

তৃতীয় ধাপে, কোন খাবার খেলে সমস্যা হয় না, তা বুঝে যাওয়ার পর কখন কোনটা খাবেন, কী বাজার করবেন, হোটেলে খেতে গেলে কী করবেন সব বুঝে সে ভাবে চলতে হয়৷

প্যাকেটের খাবার কেনার আগে তাতে যা উপাদান আছে তার ফডম্যাপের হিসেবও করতে হয়৷ তবে সব হাই–ফডম্যাপ খাবারেই যে আপনার অসুবিধে হবে এমন কিন্তু নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement