প্রতীকী ছবি।
হাসিখুশি থাকার পরামর্শ অনেকেকই দিয়ে থাকেন। তাতে শরীর ভাল থাকে বলেই মত অধিকাংশের। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মহিলাদের হাসি মুখে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। খুব অসহায় সময়েও হাসিই বাঁচিয়ে রাখতে পারে বলে মনে করেন অনেকে। সকালে উঠে পাড়ার পার্কে সকলে মিলে হাসির ক্লাবও করার চল রয়েছে। সেখানে গিয়ে সকলে মিলে জোরে হাসলে রক্ত চলাচল ভাল হয় বলেই ধারণা। কিন্তু অতিরিক্ত হাসি আবার ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। সে কথা জানা আছে কি?
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, বেশি হাসির ফাঁদে পা বাড়ালে বিপদ ঘটতে পারে। হাসি মানেই যে তা সব সময়ে আনন্দের হবে, এমন নয়।
প্রতীকী ছবি।
হাসতে হাসতে কী সঙ্কটে নিজেকে ফেলতে পারেন, তা মনে করিয়ে দিচ্ছেন গবেষকেরা। জোরে আওয়াজ করে হাসির অভ্যাস যাঁদের, সে সব মানুষের রক্তচাপ দ্রুত ওঠানামা করে। হাসতে হাসতে হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা হতে পারে। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞান পত্রিকায় এমনই দাবি করা হয়েছে।
আমেরিকার এক দল বিজ্ঞানীর হালের গবেষণায় ধরা পড়েছে যে, বেশি হাসলে শ্বাসকষ্টের প্রবণতা বাড়ে। বিশেষ করে যাঁরা খুব জোরে হাসেন, তাঁদের এই সমস্যা বেশি হতে পারে। কথায় কথায় হাসতে থাকলে মাথাও ধরে যেতে পারে। সেই মাথা ব্যথা ছাড়তেও সময় লাগে। কারণ অতিরিক্ত জোরে হাসলে পেশীতে টান ধরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সমস্যা আরও আছে। অনেকের হঠাৎ খুব জোরে হেসে ওঠার অভ্যাস থাকে। এতে এক বারে অনেকটা চাপ পড়ে শরীরের উপর। এমন বার বার হলে রক্তচাপ দ্রুত ওঠা-নামা করতে শুরু করে। এর ফলে হাসির মাঝে কেউ অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন।
এ সব কারণেই বেশি হাসির বিষয়ে সাবধান করছেন গবেষকরা।