যদি জ্বর-সর্দি কমতে না চায়, তবে ওষুধের পাশাপাশি কাজে লাগতে পারে ঘরোয়া কিছু টোটকা। ছবি- সংগৃহীত
বর্ষা মানেই কখনও ঠান্ডা হাওয়া, কখনও আবার গরমে ঘেমেনেয়ে অস্বস্তিতে পড়া। এ সবের মধ্যে লেগেই থাকে নানা রকম অসুস্থতা। সর্দি-কাশি-জ্বর যেন নিত্যসঙ্গী। তাই এ সময়ে একটু সাবধানে থাকাই শ্রেয়।
যদি জ্বর-সর্দি কমতে না চায়, তবে ওষুধের পাশাপাশি কাজে লাগতে পারে ঘরোয়া কিছু টোটকা। জেনে নিন তেমন কয়েকটির কথা।
হলুদের কার্কুমিন শরীরের প্রতিরোধশক্তি বাড়ায়। ছবি- সংগৃহীত
১) হলুদ-দুধ: গরম দুধে হলুদ দিয়ে খাওয়ার চল দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই রয়েছে। এতে নানা রকম সমস্যার সমাধান হতে পারে। বর্ষার কিছু রোগও দূরে রাখতে সাহায্য করে হলুদ-দুধ। মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি থাকলে এক কাপ গরম দুধে অল্প হলুদ মিশিয়ে খান। হলুদের কার্কুমিন শরীরের প্রতিরোধশক্তি বাড়ায়। আর দুধে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালশিয়াম। তা চাঙ্গা থাকতে সাহায্য করে।
২) নিম চা: ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা থাকে নিমপাতায়। মরসুম বদলের সময়ে এ ধরনের চা খাওয়া জরুরি। তাতে রোগ দূরে থাকে। হঠাৎ ঠান্ডা লাগলেও একটু জলে নিমপাতা ফুটিয়ে তা দিয়ে চা বানাতে পারেন। অল্প মধু ফেলে খান। গলায় আরাম হবে। সর্দি কমবে।
৩) গরম ভাপ: অল্প ঠান্ডা লাগলেও গরম জলে ভাপ দিন। সর্দি-কাশির সমস্যা কমবে। মাথা ব্যথাও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। একটি পাত্রে জল ফুটিয়ে নিন। বেশ ভাল ভাবে গরম হয়ে এলে পাত্রটি নামিয়ে টেবিলে রাখুন। একটি তোয়ালে দিয়ে ঢেকে নিন মাথা-মুখ। তার পর গরম জলের পাত্রের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে ভাপ নিন। ভিতরে গরম ভাব যত যাবে, ততই কষ্ট কমতে থাকবে।