প্রতীকী ছবি।
লুচি ভাজতে ভাজতে গরম তেল ছিঁটে এল। অথবা গরম তাওয়ায় হঠাৎ হাত দিয়ে ফেলল বাড়ির শিশুটি। কী করেন তখন? সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে তো দৌড়নো যায় না। তার জন্য কিছুটা সময় লাগে। তার আগে বাড়িতেই নেওয়া যায় কিছু ব্যবস্থা। যাতে ঘরে বসেই প্রাথমিক চিকিৎসা করে ফেলা যায়।
কী ব্যবস্থা নিতে পারেন? ঘরের কিছু জিনিস পুড়ে যাওয়ার জ্বালা কমাতে বেশি কার্যকর। তেমনই কোনও একটির সাহায্য নিন। একটি অতি প্রাচীন পদ্ধতি হল কলাপাতা দিয়ে পোড়া জায়গাটি চেপে রাখা। কলাপাতার মতো ওষুধ খুব কম আছে। কিছু ক্ষণেই কমিয়ে দিয়ে পারে প্রদাহ। কিন্তু এখন শহর অঞ্চলে অধিকাংশেরই ফ্ল্যাটবাড়িতে বসবাস। কলা গাছ তো আর হাতের কাছে থাকে না। ঘরেও কলাপাতা রাখা থাকে না। বরং অন্য কোনও পথ বেছে নিতে হবে। রইল তেমনই তিনটি পথের সন্ধান—
প্রতীকী ছবি।
১) মধু: নিয়মিত মধু খাওয়ার চল না থাকলেও হেঁশেলে খুঁজলে একটি মধুর শিশি পাওয়া যাবে না, এমন বাঙালি বাড়ি কমই আছে। হঠাৎ তেলের ছিঁটে লাগলে হাতের সেই জায়গাটিতে একটু মধু লাগিয়ে নিন। কিছু ক্ষণেই জ্বালা ভাব কমবে।
২) ভিনিগার: মধু না থাকলেও ভিনিগার তো আছে? ভিনিগারের মতো অ্যান্টিসেপ্টিক খুব কমই আছে। সামান্য জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন ভিনিগার। তার পর একটি পরিষ্কার কাপড় সেই জলে ভিজিয়ে পোড়া জায়গাটির উপর আলতো করে দিন। কিছু ক্ষণেই কমবে জ্বালা ভাব, অস্বস্তি।
৩) টি ব্যাগ: এটিও বেশ কার্যকর পদ্ধতি। কালো চা হোক বা গ্রিন টি, দু’টিতেই আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। তা যে কোনও জায়গা চট করে ঠান্ডা করে দেয়। পুড়ে গেলে যে যন্ত্রণা এবং জ্বালা ভাব থাকে, তা অনেকটাই কমাতে সক্ষম একটি ভিজে টি ব্যাগ। হঠাৎ হাত পুড়ে গেলে একটি টি ব্যাগ এক বাটি জলে ভিজিয়ে নিয়ে পোড়া জায়গার উপর দিন। কিছু ক্ষণেই মিলবে আরাম।