উল্লাস বলার আগে খেয়াল করা জরুরি, কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন। ছবি: শাটারস্টক।
দোলের উৎসব মানেই প্রচুর প্রচুর রঙের বাহার, বন্ধুবান্ধব-আত্মীয়দের সঙ্গে ব্যাপক হইচই আর জমিয়ে ভূরিভোজ। এই উৎসব উদ্যাপন অনেকের কাছে ভাঙের নেশা ছাড়া ফিকে হয়ে যায়। কেউ কেউ এমনও আছেন, যাঁরা ভাং না খেলেও সে দিনে মদ্যপান করতে পছন্দ করেন। অসতর্ক ভাবে মদ্যপানের মাত্রা একটু বেশি হয়ে গেলেই মুশকিল। হ্যাংওভার কাটিয়ে পরের দিন অফিস যেতে ঝামেলায় পড়তে হয়। তাই উল্লাস বলার আগে খেয়াল করা জরুরি, কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন। প্রয়োজনীয় খাদ্য পেটে থাকলে সামান্য মাত্রায় মদ্যপান খুব ক্ষতি করতে পারবে না। তবে তার আগে জানা দরকার, কোন ধরনের খাবার খাবেন।
এই সব খাবার শুধু শরীরে অ্যালকোহলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে না, সঙ্গে প্রয়োজনীয় পুষ্টিও জোগাবে। সব মিলিয়ে মদ্যপানের পরে শারীরিক অস্বস্তির আশঙ্কা কমবে।
কী ধরনের খাবার খাবেন?
১) মদ্যপানের আগে পেট ভরে ওট্স খেলে অনেকটাই কাজ দেয়। ওটসের ফাইবার অনেকটা শুষে নিতে পারে অ্যালকোহল। ফলে পানীয়ের প্রভাব শরীরে ততটাও পড়ে না। তাই মদ্যপানের আগে ওট্সের কুকিজ়, গ্র্যানোলা বার, স্মুদি খেয়ে নিতে পারেন।
২) কলাতেও ফাইবার থাকে। মদ্যপানের আগে কলা খেলে রক্তে অ্যালকোহলের শোষণহার কমে যায়। কলাতে পটাশিয়াম থাকে যা শরীরে মদ্যপানের পর ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই বাইরে কোথাও মদ্যপানের পরিকল্পনা থাকলে বাড়ি থেকে একটি কলা খেয়ে যেতে পারেন।
মদ্যপানের আগে কলা খেলে রক্তে অ্যালকোহলের শোষণহার কমে যায়। ছবি: শাটারস্টক।
৩) এই দুই ধরনের খাবারের পাশাপাশি একমুঠো চিনাবাদাম বা আমন্ড খেয়ে নিলেও ঝরঝরে থাকে শরীর। মদ্যপানের আগে গ্রিক ইয়োগার্টও খাওয়া যেতে পারে। এই খাবার শরীরে অ্যালকোহলের প্রভাব কমিয়ে দিতে পারে।
৪) এ ছাড়া কিনুয়া খাওয়া যেতে পারে। কিনুয়া প্রোটিন, ফাইবার এবং বেশ কিছু প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টে সমৃদ্ধ। এতে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম বেশি মাত্রায় থাকে, যা অ্যালকোহল পান করার কারণে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা কমাতে সাহায্য করে।
৫) অ্যালকোহল ডাইইউরেটিক প্রকৃতির হয়। এই কারণে অ্যালকোহল বেশি মাত্রায় শরীরে গেলে শরীরে জলশূন্যতা তৈরি হয়, অস্বস্তি বাড়ে। তাই মদ্যপানের পরিকল্পনা থাকলে সারা দিন বেশি করে জল খান। শরীরে জলের ঘাটতি হলেই মুশকিল।