লাইপোসাকশন করাতে গিয়ে মৃত্যু। ছবি: সংগৃহীত।
কৃত্রিম উপায়ে সুন্দর হওয়ার একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হল লাইপোসাকশান। তারকারা তো বটেই, সাধারণের মধ্যেও এর জনপ্রিয়তা কম নয়। এই পদ্ধতি যেমন মুহূর্তে ভোল বদলে দিতে পারে, তেমনই ঝুঁকিও থেকে যায়। সাম্প্রতিক একটি ঘটনা ফের সে কথাই মনে করাল। লাইপোসাকশন করাতে গিয়ে মৃত্যু বল ভেনেজুয়েলার বাসিন্দা ৩১ বছর বয়সি অ্যানা রোসা মাভারেজ রিভরো নামে এক তরুণীর। মৃত তরুণীর একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।
মেয়ে হওয়ার পর ওজন বে়ড়ে গিয়েছিল অ্যানার। জিমে গিয়ে, ডায়েট করেও ওজন ঝরাতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন তিনি। তখন থেকেই লাইপোসাকশন করানোর চিন্তাভাবনা শুরু করেন তিনি। কিন্তু মেয়ে ছোট থাকায় আপাতত সেই পরিকল্পনা স্থগিত রেখেছিলেন। মেয়ে একটু বড় হতেই লাইপোসাকশানের জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন। কৃত্রিম উপায়ে মেদ গলিয়ে ছিপছিপে হওয়ার এই পদ্ধতিকে ‘লাইপো লেজ়ারও বলে।
স্থানীয় একটি ক্লিনিকেই লাইপোসাকশন করাতে গিয়েছিলেন অ্যানা। লেজ়ার করার পর সব ঠিকই ছিল। কিন্তু সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে বাড়িতে আসার পর। রাত ১০টা নাগাদ অসুস্থ বোধ করেন অ্যানা। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় অ্যাম্বুল্যান্স পাচ্ছিল না পরিবার। বেশ কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করার পর একটি অ্যাম্বুল্যান্স আসায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অ্যানাকে। তত ক্ষণে অ্যানার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। অক্সিজেনের অভাবে নেতিয়ে পড়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেন মাস্ক দেওয়া হয়। শুরু করা হয় প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি অ্যানাকে। ভোরের দিকে মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসকদের কথায়, লাইপোসাকশন করানোর আগে অ্যানার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শারীরিক কোনও সমস্যা থাকলে সাধারণত লাইপোসাকশন করানো ঠিক নয়। তাতে ঝুঁকি থেকে যায়। তা ছা়ড়া এই পদ্ধতি শরীরে প্রয়োগ করার সময় সতর্ক এবং সাবধান থাকা জরুরি। ঠিক কী ঘটেছিল এখনই বোঝা যাচ্ছে না। প্রয়োজনে অ্যানার দেহ ময়নাতদন্ত করতে হতে পারে বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে।