ডায়াবিটিস আছে জেনেও মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খেয়ে ফেলা অস্বাভাবিক নয়। প্রতীকী ছবি।
দোলের দিন রং খেলতে যাওয়ার হুজুগে সকাল থেকেই নিয়মের এ দিক-ও দিক হবে। প্রতিদিন যে সময়ে খান, সেই সময়ে খাওয়া হবে না। ডায়াবিটিস আছে জেনেও মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খেয়ে ফেলাও অস্বাভাবিক নয়। অন্যদের শরীরে এর বিশেষ প্রভাব না পড়লেও যাঁদের ডায়াবিটিস আছে, তাঁদের কিন্তু সাবধানে থাকতেই হবে। কারণ, ডায়াবিটিস বশে রাখার প্রধান শর্তই হল স্বাস্থ্যকর অভ্যাসে হঠাৎ বদল না আনা। তা বলে কি দোল খেলা, ঠান্ডাই খাওয়া হবে না? সব দিক বজায় রেখে সুস্থ ভাবে রং খেলতে শুধু মাথায় রাখতে হবে কয়েকটি জিনিস।
দোলের সকালে উঠেই কোন কোন কাজ করতে হবে?
১) পরীক্ষা করে নিন
ঘুম থেকে উঠতে না উঠতেই রং খেলার প্রস্তুতি নিতে হবে। কিন্তু তার আগে খালি পেটে ‘টেস্ট কিট’ দিয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা দেখে নিতে ভুলবেন না। কারণ, খেলার পর কতটুকু মিষ্টি খেতে পারবেন, তা নির্ভর করবে সে দিনের রক্তের শর্করার মাত্রা কেমন তার উপর।
২) মেথি ভেজানো জল খান
যতই খাব না বলুন, একটু-আধটু মিষ্টি খেতেই হবে। সকালবেলা মিষ্টি খেয়ে হঠাৎ যাতে রক্তের শর্করা ওঠানামা না করে, তার জন্য সকালে উঠেই মেথি ভেজানো জল খেয়ে নিন। আগের দিন রাতে এক গ্লাস জলে ১ চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন। সকালবেলা উঠে খালি পেঠে খেয়ে নিন।
৩) প্রাতরাশ বাদ দেবেন না
যেখানে রং খেলার আয়োজন করা হয়েছে সেখানে নানা রকম খাবারেরও ব্যবস্থা রাখা আছে। কিন্তু রং খেলতে গিয়ে তো আর সময় জ্ঞান থাকবে না। কিন্তু সকাল থেকে খালি পেটে থাকলে শর্করার ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে। তাই অল্প কিছু খেয়ে তবেই রং খেলতে নামুন।
৪) প্রোটিনযুক্ত খাবার খান
প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। তাই চেষ্টা করুন তেমন খাবার খেতে। রং খেলতে গিয়ে বেলা হলেও শরীর খারাপ হবে না।
৫) অয়েল পুলিং
ডায়াবিটিস রোগীদের মুখ এবং দাঁতের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া জরুরি। খালি পেটে বেশি ক্ষণ থাকলে মুখের মধ্যে ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত হতে পারে। তাই সকালে দাঁত মাজলেও রং খেলতে যাওয়ার আগে নারকেল তেল দিয়ে মুখ ধুয়ে তবেই বাইরে যাবেন।
৬) ওষুধ খেতে ভুলবেন না
যতই তাড়া থাকুক, রোজের ওষুধ খেয়ে তবেই রং খেলতে যাবেন। ওষুধ খেতে ভুলে গেলে কিন্তু শর্করার মাত্রা ওঠানামা করবে। তাতে বরং বিপদ বাড়বে এবং খেলার আনন্দ মাটি হবে।
৭) পায়ে সাড় আছে কি না দেখে নিন
খেলতে যাওয়ার আগে বুঝতে চেষ্টা করুন শরীরে কোনও অস্বস্তি হচ্ছে কি না। দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে, রোগীদের পায়ে ঘা, ব্যথা, অসাড় হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। তাই পা এবং হাতে সাড় আছে কি না, তা বুঝতে চেষ্টা করুন।