রাত জেগে ঠাকুর দেখেও পরের দিন চনমনে থাকবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
এ বছর মহালয়া থেকেই কলকাতায় ঠাকুর দেখতে শুরু করে দিয়েছেন লোকজন। অনেকেই আবার আছেন যাঁরা ষষ্ঠী থেকে রাত জেগে ঠাকুর দেখতে শুরু করবেন। সারা রাত ধরে ঠাকুর দেখা, হইহুল্লোড় আর খাওয়াদাওয়া। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে রাত জেগে ঠাকুর দেখার মজাই আলাদা। শহর জুড়ে যেন আলোর রোশনাইয়ের ছটা। তবে পুজোয় রোজ রাত জেগে ঠাকুর দেখলে শরীরের কথাও ভাবতে হবে। কী ভাবে শরীরে চাঙ্গা রাখবেন জেনে নিন।
রাত জেগে ঠাকুর দেখেও পরের দিন চনমনে থাকবেন কী করে?
১) রাত জেগে ঠাকুর দেখা মানেই উল্টোপাল্টা খাওয়া। ফলে বদহজমের আশঙ্কা থেকেই যায়। হাতের কাছে ওষুধ রাখুন, যাতে বেগতিক দেখলেই খেয়ে নিতে পারেন। তবে শরীর সুস্থ রাখতে পুজোর ক’দিন রাস্তায় খোলা খাবার একেবারেই খাবেন না, রেস্তরাঁর খাবার খান। রাতে ঘুম না হওয়ার কারণে খুব বেশি ভারী খাওয়াদাওয়া করলেই হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই হালকা খাবার খান।
২) গাড়ি করে বেরোলেও পুজোর মণ্ডপের কাছাকাছি গাড়ি পৌঁছতে পারে না, তাই বেশ খানিকটা হাঁটতে হয়। আর এই হাঁটাহাঁটির ধকলে শরীর একটুতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই প্রচুর পরিমাণে জল খান। এতে শরীর আর্দ্র থাকবে। রাস্তার জল না খাওয়াই ভাল। সঙ্গে নিজের বোতল রাখুন।
রাত জেগে ঠাকুর দেখা মানেই উল্টোপাল্টা খাওয়া। ছবি: সংগৃহীত।
৩) হাওয়া অফিস বলছে, এ বছরও পুজোর শেষের দিকে বৃষ্টি হবে। বৃষ্টিতে ভিজে যাতে কোনও অসুখ না করে, তার জন্য বৃষ্টি থেকে বাঁচতে সঙ্গে ছাতা রাখুন।
৪) পুজোর আনন্দে ডেঙ্গির কথা ভুললে চলবে না। তাই ঠাকুর দেখতে বেরোনোর সময় হাতে-পায়ে মশা তাড়ানোর ক্রিম মাখতে ভুলবেন। বাচ্চাদের ফুল হাতার জামা আর ফুল প্যান্ট পরিয়ে বার করুন।
৫) রাত জেগে ঠাকুর দেখলেও কিন্তু পরের দিন অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমোতে হবে। রাতের পর রাত না ঘুমোলে কিন্তু শরীর ধকল নিতে পারবে না।