সকালে ঘুম থেকে উঠে কফি খেলে বেশ তরতাজা লাগে। ছবি: শাটারস্টক।
সকালে চোখ খুলেই এক কাপ গরম কফি না খেলে অনেকের ঘুমটা ঠিক ভাঙে না! প্রাতরাশ না করেই কফির কাপে চুমুক দেওয়ার অভ্যাস কিন্তু মোটেই ভাল নয়।
খালি পেটে কফি খেলেই হজমের গোলমাল হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, পাচনক্রিয়া এবং পেট পরিষ্কার হওয়ার গোটা কাঠামোটাই এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। শরীরে হানা দিতে পারে ‘ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম’ বা ‘আইবিএস’।
অনেকেই দুধ-চিনি দিয়ে কফি খেতে পছন্দ করেন। এই অভ্যাস আরও খারাপ। প্রাতরাশ না করে সকালে খালি দুধ দিয়ে কফি খেলে আলসার হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
ঘুম থেকে উঠলে শরীরে কর্টিসোল হরমোন উত্পাদনের হার বেড়ে যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খালি পেটে একটু বেশি মাত্রায় কফি খেলেই কর্টিসোলের ক্ষরণ অনেক বেড়ে যায়। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। মানসিক চাপ বা ‘স্ট্রেস’-এর অত্যতম কারণ এই হরমোনটি। ফলে ঘুম ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে দু’-তিন কাপ কফি খেয়ে নিলে মন ভাল হওয়ার পরিবর্তে মানসিক চাপ বেড়ে যায়। শরীরে স্বাভাবিক মাত্রায় কর্টিসোলে ক্ষরণ বিপাকহার, রক্তচপ আর রক্তে শর্রকার মাত্রা নিয়ত্রণে রাখে। তবে অত্যধিক মাত্রায় এর ক্ষরণ হাড়ের ক্ষতি করে, উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ ২ ডায়াবিটিস এমনকি, হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।
সকালে খালি পেটে কফি খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। ছবি: শাটারস্টক
সকালে ঘুম থেকে উঠে কফি খেলে বেশ তরতাজা লাগে। কফিতে থাকা ক্যাফিন খুব সাময়িক ভাবে শক্তির জোগান দিতে পারে। তবে ক্যাফিন নামক পদার্থটি শরীরে জলের ঘাটতি ঘটায়। সকালে খালি পেটে কফি খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। গ্রীষ্মের দিনে এই অভ্যাস শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে দিতে পারে। এর ফলে মাথা ঘুরতে পারে। এ ছাড়া, পেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি আসে।