ফিটনেস ট্র্যাকার ব্যবহার করলে খাদ্যাভাসেও পরিবর্তন আসে। ছবি: সংগৃহীত
ইদানীং স্বাস্থ্য সচেতনতা কিছুটা হলেও বেড়েছে। বাজারে পরিধানযোগ্য গেজেটের মধ্যে ফিটনেস ব্যান্ড বা ফিটনেস ট্র্যাকারের বহুল বিক্রি অন্তত সেই দিকেই ইঙ্গিত দেয়! ব্যবহারকারীর প্রতিটি পদক্ষেপ, ঘুমের পরিমাণ, হৃদ্স্পন্দনের হার— সবের উপর কড়া নজর থাকে এই যন্ত্রের। এমনকি কতটা ঘুম হল, সে তথ্যও জোগায় এই যন্ত্র। আপনি যদি শরীরচর্চা বা ব্যয়াম শুরু করার পরিকল্পনা করেন কিংবা দীর্ঘদিন পর পুনরায় জিমে ভর্তি হওয়ার কথা ভাবছেন, সে ক্ষেত্রে ফিটনেস ট্র্যাকার হতেই পারে আপনার নিত্য সঙ্গী।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা ফিটনেস ট্র্যাকার ব্যবহার করছেন, তাঁদের মধ্যে কর্ম দক্ষতা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে।
আপনি হয়তো স্বাস্থ্য সচেতন৷ যত ব্যস্তই থাকুন না কেন, সকালবেলায় ঘড়ি ধরে আধ ঘণ্টা ব্যয়াম করেন। তার পর ঠিক সময়ে প্রাতরাশ করেন৷ মেপে খাওয়াদাওয়া সারেন৷ ভাজাভুজি এড়িয়ে চলেন৷ তবে সারাদিনে আপনার কতটা ক্যালোরি খরচ হচ্ছে, সে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আপনার পক্ষে সম্ভব নয়৷ অথচ এর উত্তর জানা খুব জরুরি৷
প্রতীকী ছবি
আর এই জন্যই আপনার দরকার ফিটনেস ট্র্যাকার৷ এটির সহায়তায় আপনি জানতে পারবেন, শরীরচর্চা করে কতটা পরিমাণ ক্যালোরি ঝরালেন৷ খাওয়ার সময়ে কত ক্যালোরিই বা আপনার পেটে গেল৷ আপনি যে লিফ্ট না ব্যবহার করে সিঁড়ি ব্যবহার করছেন, তাতেই বা কতটা ক্যালোরি খরচ হল৷ এই সব তথ্য থাকছে হাতের মুঠোয়৷ এই তথ্যগুলিই জীবনযাপনে কিছু জরুরি বদল আনতে সাহায্য করবে৷
গবেষকদের দাবি, ওজন বেড়ে য়াওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় কারণ হল অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস। ফিটনেস ট্র্যাকার ব্যবহার করলে খাদ্যাভাসেও পরিবর্তন আসে। মাত্রারিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ করলেই ফিটনেস ট্র্যাকার আপনাকে সজাগ করবে। ফলে আপনিও খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানবেন। ওজন কমানোর লক্ষে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবেন। প্রতিদিন ক্যালোরির পরিমাণ হিসাব করলে নিজেই উৎসাহ পাবেন, পরদিন আরও একটু বেশি ব্যয়াম করতেও মন্দ লাগবে না।