একুশ শতকেও শরীরের যত্ন নিয়ম করে খান বেলের শরবত। ছবি: সংগৃহীত
মাঝেমাঝে বৃষ্টির দেখা মিললেও মাথার উপর এখন রোদের তাপের তীব্রতা বাড়ছে। গ্রীষ্মের এই সময়ে শরীরের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়া দরকার। কাজের প্রয়োজন অনেককেই বাইরে বেরোতে হয়। এই সময় তাই বাড়তি সুরক্ষার প্রয়োজন। গ্রীষ্মকালে শরীর সুস্থ ও ঠান্ডা রাখতে অন্যতম ভরসা হতে পারে বেল। প্রাচীনকাল থেকে স্বাস্থ্যরক্ষায় বেলের ব্যবহার হয়ে আসছে। একুশ শতকেও শরীরের যত্ন নিয়ম করে খান বেলের শরবত।
শরীর সুস্থ রাখতে কী ভাবে সাহায্য করে বেল?
আলসারের সমস্যায়
পাকা বেলের শাঁসে এক ধরনের ফাইবার আছে, যা আলসারের দাওয়াই হিসাবে দারুণ কাজ করে। নিয়মিত বেল খাওয়ার অভ্যাস আলসারের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে
ডায়াবিটিস আক্রান্তদের খাওয়াদাওয়ায় অনেক বিধিনিষেধ থাকে। মিষ্টি হোক বা ফল— ডায়াবিটিস থাকলে অনেক কিছু খাওয়া মানা। তবে বেল কিন্তু ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বেলে মেথানল নামের একটি উপাদান থাকে। যা রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে।
আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে
আর্থ্রাইটিসের ব্যথা, বেদনায় অনেকেই কষ্ট পান। ব্যথা বাড়লে হাঁটাচলা করাই দুষ্কর হয়ে ওঠে। বেল আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে সক্ষম। রোজের খাদ্যতালিকায় না রাখলেও সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন বেল খেতে পারেন। সুফল পাবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম কারণ। বেল পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। নিয়ম করে বেল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা চিরতরে দূর হবে।