পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডাবের জল এবং তালের শাঁসের গুণ প্রায় একই। ছবি: সংগৃহীত
গরমে তালশাঁস খুব জনপ্রিয় একটি খাবার। খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমন স্বাস্থ্যকরও। তালশাঁসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জল। তালের শাঁসের ভিতরে যে জল থাকে, তার স্বাদ অনেকটা ডাবের জলের মতোই। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন, ফাইবার এবং খনিজ উপাদান।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডাবের জল এবং তালের শাঁসের গুণ প্রায় একই। দু’টিই একটি খোলসের মধ্যে থাকে। ডাবের জলের পুরোটাই তরল। অন্য দিকে, তালের শাঁসে কিছুটা শক্ত অংশ থাকে। গ্রীষ্মে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে তালশাঁস। অনেকের ধারণা, গরমে ডাবের জলই বোধ হয় সবচেয়ে উপকারী। কিন্তু অনেকেই জানেন না, গরমে তালের কচি শাঁসও অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। গরমে তাপমাত্রার কারণে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যাওয়া, চুল পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তা ছা়ড়া এই সময়ে অতিরিক্ত ঘামও হয়। ঘামের ফলে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায়। শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করতে দারুণ সাহায্য করে তালশাঁস।
তালশাঁসে থাকা জলীয় অংশ শরীরের জলশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। তালশাঁসে রয়েছে ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, যা শরীরের জন্য বিশেষ ভাবে উপকারী। তালশাঁসে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি প্রখর করতেও সাহায্য করে।
লিভারের সমস্যা দূর করতেও কচি তালের শাঁস দারুণ কাজ করে। অ্যানিমিয়া, রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দূর করতেও তালশাঁস দারুণ সাহায্য করে। তাই গরমে সুস্থ থাকতে ডাবের জল এবং তালের শাঁস দুই-ই খেতে পারেন। শরীরের জন্য দু’টিই অত্যন্ত উপকারী।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।