অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও আধুনিক জীবনযাত্রার নানা ক্ষতিকারক দিকও এমন মারণ অসুখের দিকে ঠেলে দেয় আমাদের। ছবি: সংগৃহীত
আধুনিক জীবনযাত্রায় যে সব মারণ অসুখ নিয়ত আমাদের ভাবনায় রাখে, তার অন্যতম ক্যানসার। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও আধুনিক জীবনযাত্রার নানা ক্ষতিকারক দিকও এমন মারণ অসুখের দিকে ঠেলে দেয় আমাদের। তাই জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ আনা ও ক্ষতিকারক অভ্যাসগুলিতে বদল আনা যেমন প্রয়োজন, তেমনই রোজের খাদ্যতালিকাতেও রাখা উচিত এমন কিছু খাবার, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্যানসার প্রতিরোধেও বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে।
ভাজাভুজি, তেল-মশলার খাবার কমিয়ে খাদ্যতালিকায় রাখুন এমন পুষ্টিকর কিছু উপাদান, যা ক্যানসারের মতো মারণ রোগ ঠেকাতে অনেকটাই সাহায্য করবে আপনাকে। পুষ্টিবিদদের মতে, এমন কিছু মশলা আছে, নিয়মিত খাদ্যতালিকায় যা রাখলে ক্যানসার প্রতিরোধে বেশ কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে। আসুন জানা যাক কোন কোন মশলা রোজের খাদ্যতালিকায় রাখতেই হবে।
হলুদ:
হলুদে কারকিউমিন নামক যৌগ থাকে, যা শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যই ক্যানসার প্রতিরোধে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম। তাই ক্যানসার থেকে বাঁচতে চাইলে খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন হলুদ। ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রুখতেও এই মশলা বিশেষ উপকারী।
প্রতীকী ছবি
গোলমরিচ:
গোলমরিচে থাকে পিপেরিন যৌগ যা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। ব্রেস্ট ক্যানসার রিসার্চ অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, গোলমরিচ স্তনে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রুখতে কার্যকরী।
ওরেগ্যানো:
ওরেগ্যানোতে ক্যালভাকরোল নামক একটি যৌগ রয়েছে, যা প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে এবং ক্যানসার কোষের বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যা়ন্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা ক্যানসারের প্রতিরোধে সাহায্য করে।
রসুন:
রসুনে থাকা অরগ্যানোসালফার শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। টিউমার জাতীয় অসুখের প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে রসুন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রস্টেট ক্যানসার ঠেকাতে রসুনের বিকল্প নেই।