কেন্দ্র সরকার বিজপ্তিতে কেন্দ্র রাজ্য সরকারগুলিকে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকার বার্তা দিয়েছে। ছবি: শাটারস্টক।
১২২ বছরে সবচেয়ে উত্তপ্ত ফেব্রুয়ারি মাসের সাক্ষী হল ভারত। ভারতের হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯০১ সাল থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে তাপমাত্রার পারদ এতটা চড়তে দেখা যায়নি কখনও। আবহাওয়া দফতর সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল যে, মার্চ থেকে মে মাসে উত্তর-পূর্ব ভারত, পূর্ব ও মধ্য ভারত এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতের কিছু অংশে স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও, আগামী তিন মাসের মধ্য ও পার্শ্ববর্তী উত্তর-পশ্চিম ভারতের অনেক অঞ্চলে তাপপ্রবাহেরও আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মার্চের প্রথম সপ্তাহেই গরমের আঁচ ভাল মতো টের পেতে শুরু করেছে দেশবাসী। এই পরিস্থিতি তাপপ্রবাহের আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই সচেতনার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর।
বিজপ্তিতে কেন্দ্র রাজ্য সরকারগুলিকে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকার বার্তা দিয়েছে। রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, স্যালাইন, আইস প্যাক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রাখার কথা। সরকারি হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের যেন কোনও রকম অভাব না থাকে, সে দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
কেন্দ্র সরকারের তরফে কী কী সতর্কতা জারি করা হয়েছে?
১) পারলে দুপুর ১২টা থেকে ৩টের মধ্যে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। ঘরের ভিতরে থেকে কাজ করুন। এই সময়ে রোদের তাপ সবচেয়ে বেশি থাকে। এই সময়ে শিশুদের পার্কিংয়ে রাখা গাড়িতে বসিয়ে রাখবেন না।
সর্বাধিক তাপমাত্রার সময়ে শরীরচর্চা বা অতিরিক্ত ক্লান্তিকর কোনও রকম কাজ এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। ছবি: শাটারস্টক।
২) সারা দিন ধরে ঘন ঘন জল খান। শরীর শুকিয়ে যেতে দেবেন না। বাইরে বেরোলে জল অবশ্যই সঙ্গে রাখুন। শসা, তরমুজ, লেবুর মতো ফল বেশি করে ডায়েটে রাখুন। মাঝেমাঝে নুন দেওয়া পানীয় যেমন লস্যি, ঘোল, লেবুজল, ফলের রস আর ওআরএসে চুমুক দিতে হবে।
৩) হালকা সুতির পোশাক পরুন, যাতে ঘাম হলে তাড়াতা়ড়ি শুকিয়ে যায়। ঢাকা জুতোর বদলে খোলা চপ্পল পরুন।
৪) অনেকেই বেজায় গরমে প্রচুর বিয়ার, সোডা বা নরম পানীয় খেয়ে ফেলেন। এতে ডিহাইড্রেশনের আশঙ্কা বে়ড়ে যায়। চা বা কফিও খুব বেশি খাবেন না।
৫) তেলমশলাদার খাবার এই সময়ে এড়িয়ে চলুন। উচ্চ প্রোটিনযুক্ত আমিষ খাবার এই সময়ে কম খাওয়াই ভাল। তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায় এমন খাবার খান। একেবারে অনেকটা খাবার না খেয়ে অল্প মাত্রায় বার বার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৬) সর্বাধিক তাপমাত্রার সময়ে শরীরচর্চা বা অতিরিক্ত ক্লান্তিকর কোনও রকম কাজ এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। পরিশ্রমের কাজ দুপুর ১২টার আগে সেরে ফেলার চেষ্টা করুন।
৭) বাইরে বেরোলে রোদচশমা, ছাতা অবশ্যই সঙ্গে নেবেন। সূর্যের আলো সরাসরি গায়ে লাগতে দেবেন না। গা ঢাকা পোশাক পরবেন।