হৃদ্রোগ থেকে সাবধান। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, ইউরিক অ্যাসিডের মতো ক্রনিক অসুখ যতই ঘরে ঘরে দাপট দেখাক, প্রতিযোগিতায় এগিয়ে আছে হৃদ্রোগ। ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে হার্টের অসুখ। সম্প্রতি মেডিক্যাল জার্নাল ‘ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত এক গবেষণা জানাচ্ছে, ২০২২ সালে গোটা বিশ্বে যে সংখ্যক মৃত্যুর সংখ্যা ঘটেছে, তার সিংহভাগের নেপথ্যে রয়েছে হার্টের সমস্যা। শুধু তাই নয়, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রাণঘাতী রোগের তালিকায় একেবারে প্রথম দিকে উঠে আসবে হৃদ্রোগ। স্ট্রোক, সিওপিডি ধীরে ধীরে হানা দেবে জীবনে। অকালে মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখতে না চাইলে হৃদ্রোগ ঠেকাতে দৈনন্দিন জীবনে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
১) পর্যাপ্ত ঘুম হৃদ্রোগ ঠেকানোর অন্যতম উপায়। ঝুঁকি এড়াতে দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। একটানা যদি ঘুম না-ও ধয়, তবে কাজের ফাঁকে ফাঁকে ঘুমিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
২) হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চার বিকল্প নেই। তা ছাড়া, ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকেও কিন্তু হৃদ্রোগের আশঙ্কা বাড়ে। তাই নিয়ম করে শরীরচর্চা করতেই হবে। সব সময় খুব ভারী শরীরচর্চা করতে হবে, এমন কোনও কথা নেই। হালকা ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি কিংবা যোগাসন করলেও চলবে।
ডায়াবিটিস হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ছবি: সংগৃহীত।
৩) ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড এবং বাড়তি ওজনের মতো সমস্যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু, এই সমস্যাগুলির জন্য অনেকেই নিজের ইচ্ছামতো ওষুধ খান। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া বা ওষুধ বন্ধ করা, দুই-ই ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। বিশেষ করে যাঁরা রক্তচাপের ওষুধ খান, তাঁদের এ বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া জরুরি।
৪) হৃদ্যন্ত্রের নিয়মিত পরীক্ষা করালে অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিরোধ করা যেতে পারে হৃদ্রোগ। কিন্তু, অনেকেই বুকে ব্যথা, ক্লান্তি বা শারীরিক অস্বস্তির মতো লক্ষণগুলিকে গ্যাসের সমস্যা বলে এড়িয়ে যান। এই ধরনের সমস্যা অবহেলা করা ঠিক হবে না।