শীতে সুরক্ষিত থাকতে কিছু নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি বয়স্কদের খাবারদাবারেও খানিক বদল আনা প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত
শীতের মরসুমে সবচেয়ে বেশি যত্নে রাখা প্রয়োজন বাড়ির খুদে এবং বয়স্ক সদস্যদের। কারণ, শিশু এবং বয়স্কদের প্রতিরোধ ক্ষমতা সবচেয়ে কম থাকে। বিশেষ করে বার্ধক্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়। একটুতেই ঠান্ডা লেগে যাওয়া, সর্দিকাশি, নাক থেকে জল পড়ার মতো সমস্যা বয়স্কদের হতেই থাকে। তাই সব সময় গরম জামাকাপড় পরা, গরম গরম খাবার খাওয়া, ভাপ নেওয়ার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকরা। কোনও ভাবেই যাতে ঠান্ডা না লেগে যায়, সে দিকেও নজর দেওয়ার কথা বলেন তাঁরা। শীতে সুরক্ষিত থাকতে কিছু নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি বয়স্কদের খাবারদাবারেও খানিক বদল আনা প্রয়োজন। তাতে ভিতর থেকে সুস্থ থাকবে শরীর। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।
প্রচুর পরিমাণে শাকসব্জি
শীতকালের মতো সব্জির বৈচিত্র আর কখনও দেখা যায় না। শীতের যেন রোজ সব্জি খাওয়া হয়, সেটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এই সময়ে গাজর, বিনস্, বিট, পেঁয়াজকলিতে একেবারে রঙিন হয়ে ওঠে বাজার। পাতেও থাকা চাই এই রঙের ছোঁয়া। সব্জিতে থাকা উপকারী ভিটামিন, মিনারেলস, ফাইবার বার্ধক্যে যত্ন নেয় শরীরের।
দই, দুধ, পনিরের মতো খাবার শীতকালে সুস্থ থাকতে বয়স্কদের বেশি করে খাওয়ার কথা বলে থাকেন পুষ্টিবিদরা। ছবি: সংগৃহীত
দুগ্ধজাতীয় খাবার
দই, দুধ, পনিরের মতো খাবার শীতকালে সুস্থ থাকতে বয়স্কদের বেশি করে এই খাওয়ার কথা বলে থাকেন পুষ্টিবিদরা। এই ধরনের খাবারে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ ভরপুর মাত্রায় থাকে। ফলে হাড়ের যত্ন নিয়ে বয়সকালে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখা উচিত এই ধরনের খাবারে। ক্যালশিয়াম ছাড়াও দুগ্ধজাতীয় খাবারে ভিটামিন ডি-র সমৃদ্ধ উৎস। শীতকালে এমনিতেই এই ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণে মেলে না। ফলে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি মেটাতে এই খাবারগুলি খাওয়া জরুরি।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
হৃদ্রোগ, কোলেস্টেরল, থাইরয়েড— বয়স বাড়লে যে ক্রনিক সমস্যাগুলি হানান দেয় শরীরে, তা থেকে সুরক্ষিত থাকতে রোজের পাতে রাখা দরকার ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড-সমৃদ্ধ খাবার। শীতকালে বয়স্করা শারীরিক ভাবে একটু কমজোরি হয়ে পড়েন। নানা ধরনের রোগবালাই দেখা দিতে শুরু করে। এই মরসুমে বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের যত্নে রাখতে, তাঁদের বাদাম, ড্রাই ফ্রুটস, তিসির বীজের মতো খাবার বেশি করে খাওয়ান।