শীতে উষ্ণ থাকার উপায়। ছবি: সংগৃহীত।
শীতে মুখরোচক খাবারের প্রতি প্রেম যেন খানিকটা বেড়ে যায়। সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরে একটু চপ, শিঙাড়ায় কামড় না বসালে শীতকাল বলেই যেন মনে হয় না। তবে শীতকালে প্রতি দিন এই ধরনের খাবার খেলে আবার পেটের গোলমাল দেখা দিতে পারে। তাই এমন কিছু খাবার বেছে নিতে হবে যেগুলি শরীর ভিতর থেকে উষ্ণ রাখবে আবার শীতে পেটের গোলমালের ঝুঁকি এড়ানো যাবে। রইল তেমন কিছু খাবারের হদিস।
সব্জির স্যুপ
শীতকালে বাজারে মরসুমি রঙিন সব্জি ছেঁয়ে গিয়েছে। গাজর, ব্রকোলি, ফুলকপি, ধনেপাতা, ক্যাপসিকাম— বাহারি সব্জিতে ভরে উঠেছে বাজার। স্বাস্থ্যগুণে সমৃদ্ধ এই সব্জি দিয়েই তৈরি করে নিতে পারেন স্যুপ। সর্দি-কাশি হলে এই স্যুপ কিন্তু দারুণ পথ্য হিসাবে কাজ করে। শীতের সন্ধ্যায় একবাটি ধোঁয়া ওঠা সব্জির স্যুপ খেলে শরীরও চাঙ্গা থাকবে।
গ্রিক ইয়োগার্ট
শীতে বেশি ঠান্ডা লাগবে বলে অনেকেই দই খেতে চান না। অথচ গ্রিক ইয়োগার্ট কিন্তু শরীর উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। গ্রিক ইয়োগার্ট-এর সঙ্গে খানিকটা ড্রাই ফ্রুটস মিশিয়ে খেতে পারেন। খেতে ভাল লাগবে তো বটেই। আবার শরীরও যত্নে থাকবে। ইয়োগার্ট এবং ড্রাই ফ্রুটস দুটোতেই প্রোটিন আছে ভরপুর পরিমাণে, ফলে প্রতিরোধ ক্ষমতাও তৈরি হবে এটি খেলে।
শীতে ফিট থাকতে কিনোয়া খেতে পারেন চোখ বন্ধ করে। ছবি: সংগৃহীত।
কিনোয়া
ওট্স, মুজলি, মিলেটের পাশাপাশি কিনোয়াও ইদানীং সমান জনপ্রিয় উঠেছে। অনেকেই ওজন ঝরাতে কিনোয়ার উপর ভরসা রাখেন। শীতে ফিট থাকতে কিন্তু কিনোয়া খেতে পারেন চোখ বন্ধ করে। কিনোয়া নানা ভাবে খাওয়া যায়। শীতেক সকালে কিনোয়া আর বিভিন্ন সব্জি পেস্ট করে নিয়ে একটি গোলা বানিয়ে প্যানকেক বানিয়ে ফেলতে পারেন। এর চেয়ে ভাল হাই-প্রোটিং জলখাবার হবে না।
ডার্ক চকোলেট
মাঝেমাঝে একটু মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করে? তা হলে ব্যাগে রাখতে পারেন ডার্ক চকোলেট। ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই, আবার ডার্ক চকোলেট খেলে সমস্ত ক্লান্তি ধুয়েমুছে সাফ করে দিতে পারে। কালো কফির সঙ্গে এক বার ডার্ক চকোলেট মিশিয়ে খেতে পারেন— মন ভরে যাবে পুরো।