চোখের যত্নে কোন ড্রাই ফ্রুটগুলি বেশি করে খাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
দিনের অধিকাংশ সময় অফিসে ল্যাপটপে চোখ রেখে কেটে যায় অনেকের। বাড়ি ফিরেও আবার মোবাইলে সিরিজ়, সিনেমা দেখতে বসা। অনেকে তো আবার বাড়ি ফিরেও কাজে বসেন। দীর্ঘ দিন ধরে এমন নিয়মেই চলছে অনেকের জীবন। আর এ সবেরই প্রভাব পড়ছে চোখে। সাময়িক কোনও অসুবিধা না হলেও দীর্ঘমেয়াদে নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। ফিট থাকতে শরীরচর্চার যতটা প্রয়োজন আছে, তেমনই চোখ ভাল রাখতে বাড়তি যত্নআত্তি করা জরুরি। চোখ ভাল রাখতে কাজের ফাঁকেই বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। চোখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দেওয়া থেকে খানিক ক্ষণ চোখ বুজে থাকা— এগুলি মেনে চলতেই হয়। তবে চোখের যত্নে কিন্তু ভরসা রাখা যেতে পারে কিছু ড্রাই ফ্রুটের উপরেও। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি চোখের খেয়াল রাখতেও সমান পারদর্শী ড্রাই ফ্রুটস। তবে চোখের যত্নে কোন ড্রাই ফ্রুটগুলি বেশি করে খাবেন?
কাঠবাদাম
ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ কাঠবাদামের বহুমুখী উপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে কাঠবাদাম সত্যিই কার্যকর। এই বাদাম অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের সঙ্গে লড়াই করে চোখ ভাল রাখে। সার্বিক সুস্থতার জন্যেও কাঠবাদাম খাওয়া জরুরি।
আখরোট
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর আখরোট চোখের যত্ন নেয়। দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে এই জন্য ছোট থেকেই আখরোট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। আখরোটে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ‘ড্রাই আইজ়’-এর সমস্যাও অনেকটা কমিয়ে দেয়।
পেস্তা
আরও এক উপকারী ড্রাই ফ্রুট হল পেস্তা। এতে থাকা জেক্সানাথিন বয়সজনিত চোখের সমস্যা প্রতিরোধ করে। দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয় পেস্তা খেলে। তাই নিয়ম করে পেস্তা খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।
কিশমিশ চোখের খেয়াল রাখতে দক্ষ। ছবি: সংগৃহীত।
কিশমিশ
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং পলিফেনলিক উপাদান সমৃদ্ধ কিশমিশ চোখের খেয়াল রাখতে দক্ষ। প্রদাহজনিত সমস্যা থেকে দূরে থাকতেও কিশমিশের জুড়ি মেলা ভার। দৃষ্টিশক্তি উন্নত করা থেকে চোখের নানা সংক্রমণ দূর করা— কিশমিশ ওষুধের মতো কাজ করে।
খেজুর
চোখের নানা সমস্যা দেখা দেয় ভিটামিন এ-র অভাবে। আর খেজুরে এই ভিটামিন রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। তাই চোখের খেয়াল রাখতে খেজুর খাওয়া জরুরি। অনেকে আবার রাতে কম দেখেন। এই সমস্যারও সমাধান রয়েছে খেজুরে।