Mobile Use

সারাদিন মোবাইল ব্যবহার করে সন্তান? স্বাস্থ্যহানি আটকাতে গড়ে তুলতে হবে কোন কোন অভ্যাস?

অনেক কিশোর-কিশোরীই দিনরাত মোবাইল ব্যবহার করে। মোবাইল ব্যবহারেও যাতে শরীরের ক্ষতি কম হয়, সে ব্যবস্থা করা দরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েকটি অভ্যাস গড়ে তুললে কিছুটা কমতে পারে সমস্যা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩৭
Share:

বকেঝকেও ফোন থেকে সন্তানকে বেশি ক্ষণ দূরে রাখা কঠিন। ছবি: প্রতীকী

বাড়ির ছোটদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে মাথাব্যথার শেষ নেই বাবা-মায়ের। বকেঝকেও ফোন থেকে সন্তানকে বেশি ক্ষণ দূরে রাখা কঠিন। কিন্তু একটানা মোবাইল ব্যবহার করলে কত রকম সমস্যা হতে পারে, তা কারও অজানা নয়। কাজেই মোবাইল ব্যবহার করলেও যাতে শরীরের ক্ষতি কম হয়, তার ব্যবস্থা করা দরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু কিছু অভ্যাস গড়ে তুললে অনেকটাই কমতে পারে সমস্যা। কোন কোন সমস্যা কমাতে কী কী করা যেতে পারে?

Advertisement

১. হাতের সমস্যা

মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে পিঠ এবং কোমরে বহু সময়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে হাতের। নাগাড়ে মোবাইল ব্যবহার করার ফলে হাতের পেশিতে টান পড়ে। রক্ত চলাচলেও সমস্যা তৈরি হয়। ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা-বেদনা দেখা দিতে পারে। দু’ঘণ্টার বেশি সময় ধরে একটানা মোবাইল ব্যবহার করলে বুড়ো আঙুল, তর্জনী এবং মধ্যমার উপর চাপ পড়ে। আঙুলে থাকা স্নায়ুর উপরেও বাড়তি চাপ পড়ে। এর থেকে রেহাই পেতে কিছু ক্ষণ পর পর আঙুল প্রসারিত করতে হবে। একই ভঙ্গিতে বসে না থেকে সন্তানকে বলুন একটু হেঁটে আসতে।

Advertisement

২. মাইগ্রেনের সমস্যা

একটানা মোবাইলে কথা বললে ঘাড়ে ও কাঁধে ব্যথার ঝুঁকি বাড়ে। সঙ্গে বাড়ে মাইগ্রেনের মাথাব্যথাও। এই সমস্যা কমাতে একটি চেয়ারে সোজা হয়ে বসতে বলুন সন্তানকে। তার পর কোনও এক দিকে মাথা ঘোরাতে বলুন। মাথা ঘোরানোর সময়ে ঘাড় যেন একেবারে খাড়া থাকে। এর পর যে দিকে মাথা ঘোরালেন, তার উল্টো হাত দিয়ে মাথায় অল্প করে চাপ দিন। আর সেই চাপের বিরুদ্ধে মাথা সোজা করার চেষ্টা করুন। এই অবস্থায় ১০ সেকেন্ড থেকে হাত নামিয়ে নিন। একই কাজ অন্য দিকেও করুন।

দিনরাত মোবাইলে ব্যস্ত সন্তান। ছবি: প্রতীকী

৩. অসাবধানতা

এখন অনেক কিশোর-কিশোরীই দিনরাত মোবাইল নিয়ে হাঁটাচলা করে। এমনকি, শৌচালয়ে যাওয়ার সময়ে কিংবা এক ঘর থেকে অন্য ঘরে হেঁটে যাওয়ার সময়েও মোবাইল সঙ্গে নিয়ে যায়। এতে শুধু পেশি ও স্নায়ুতে চাপ পড়ে না। পড়ে গিয়ে চোট-আঘাত পাওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। ঝুঁকি আরও বাড়ে কানে হেডফোন থাকলে। সন্তানকে বলতে হবে হাঁটাচলার সময়ে ফোনের ব্যবহার না করতে। যদি করতেই হয়, তবে ফোন যেন স্পিকারে থাকে।

৪. চোখের ক্ষতি

কুড়ি মিনিট অন্তর অন্তর মোবাইলের পর্দা থেকে চোখ সরিয়ে নেওয়ার অভ্যাস করতে হবে। চক্ষু চিকিৎসকদের পরামর্শ, অনলাইনে পড়াশোনা করার সময়ে একটানা পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের অশ্রুগ্রন্থি শুকিয়ে আসে। প্রত্যেক ২০ মিনিট অন্তর অন্তর পর্দা থেকে চোখ সরিয়ে নিলে ক্ষতি কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement