হৃদ্রোগ হওয়ার কোনও বয়স নেই। ছবি: সংগৃহীত।
হৃদ্রোগ যে কোনও বয়সে হতে পারে। ৫০-এর প্রৌঢ়ের যেমন হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা হতে পারে, তেমনই ২৫-এর তরুণেরও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থেকে যায়। পরিসংখ্যান বলছে, কম বয়সিদের মধ্যে হার্টের রোগের ঝুঁকি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ১৬-১৭ বছরের ছেলেমেয়েদেরও হৃদ্রোগ ধরা পড়ছে। পড়াশোনা, প্রতিযোগিতা, পরীক্ষা, টিকে থাকার লড়াই করতে দৈনন্দিন জীবনে কম পরিশ্রম হয় না। আর বিনোদন মানেই রেস্তরাঁয় গিয়ে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া, নয়তো নেটফ্লিক্সে মুখ গুঁজে থাকে। এই রুটিনের কোথাও শরীরচর্চা নেই, বেশি করে জল খাওয়া, বাড়ির খাবার খাওয়া নেই। দীর্ঘ দিনের এই অনিয়মে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যেও ক্রমশ বাড়ছে হৃদ্রোগের ঝুঁকি। কোন নিয়মগুলি মেনে চললে কম বয়সে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব?
হৃদ্রোগ এড়াতে নিয়মিত শরীরচর্চা প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত।
ঘরোয়া খাবার
কলেজ অথবা অফিস ফেরত ডোবা তেলে ভাজা স্প্রিং রোল কিংবা এগরোলে কামড় না বসালে মনটা খুঁতখুঁত করে অনেকেরই। রোজ এই ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস ডেকে আনছে হৃদ্রোগ। তাই সুস্থ থাকতে তেলেভাজা খাবার থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকাই শ্রেয়। বাড়ির খাবারের প্রতি ভালবাসা তৈরি করতে হবে। দরকার হলে বাড়িতেই মাঝেমাঝে বানিয়ে নিন মুখরোচক খাবার।
শরীরচর্চা করা জরুরি
সকাল থেকে রাত ছুটে বেড়ানোর নাম শরীরচর্চা নয়। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে শরীরচর্চার জন্য রাখতে হবে। যোগাসন থেকে ব্যায়াম অল্প সময়ের জন্য হলেও নিয়ম করে এক বার করা প্রয়োজন। শরীরচর্চার অভাসে দূরে পালায় হৃদ্রোগ।
ধূমপান না করা
কম বয়স থেকেই অতিরিক্ত ধূমপানের অভ্যাসে হৃদ্যন্ত্রে নানা গোলমাল দেখা দিতে শুরু করে। এমনিতে হার্টের কোনও সমস্যা থাকলে ধূমপান না করতেই বলা হয়। কারণ এই অভ্যাসের হাত ধরেই শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগবালাই। ঝুঁকি এড়াতে তাই ধূমপানের অভ্যাসে ইতি টানা জরুরি।
মানসিক উদ্বেগ
সম্পর্কের জটিলতা, কম বয়সে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছনোর আকাঙ্ক্ষা, পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার চাপ সব মিলিয়ে সব সময়েই একটা উদ্বেগ কাজ করে অনেকের মধ্যেই। মানসিক চাপ হৃদ্রোগের অন্যতম নেপথ্য কারণ। কম বয়সে সুস্থ ভাবে ছুটে বেড়াতে মানসিক ভাবে আনন্দে থাকে জরুরি।