ছবি: সংগৃহীত।
বা়ড়ির সকলের খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজের দিকে তাকানোর ফুরসত পান না মহিলারা। তবে শুধু তো বাড়ির দায়িত্ব নয়, সঙ্গে অফিসও আছে। ঘর আর বাইরে সামলাতে গিয়ে দু’হাতে দশভুজা হয়ে উঠতে হয়। সকলকে ভাল রাখার দায়িত্ব যাঁরা কাঁধে তুলে নেন, তাঁদেরও সুস্থ থাকা জরুরি। সব দিক সামলাতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয় খাওয়াদাওয়ায়। তার ফলে যেটা হয় বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টিগুণের অভাব দেখা যায়। শরীরে পুষ্টির ঘাটতি কমবয়সে ডেকে আনে নানা ক্রনিক সমস্যা। তাই এমন কিছু খাবার রোজের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে, শত অনিয়মেও শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়, আবার শরীর সুস্থ থাকবে।
শাকসব্জি
নানা রকমের শাক, লেটুস, ব্রকোলির মতো সবুজ শাকসব্জি মরসুম অনুযায়ী রোজকার খাবারের সঙ্গে খান। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কোলাজেন কমে যায় আমাদের শরীরে। তাই ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। তাই প্রত্যেক দিন নানা রকম দামি প্রসাধনী ব্যবহার করার বদলে যদি খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর দেন, তা হলে বেশি উপকার পাবেন।
ওট্স
চটজলদি স্বাস্থ্যকর জলখাবারের জন্য ওট্সের মতো ভাল জিনিস হয় না। ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ওট্স। গ্লুটেন যদি সহ্য না হয়, তা হলে ওট্স আপনার ভাল বন্ধু হয়ে উঠবে। ওট্স গুঁড়ো করে তা দিয়ে রুটি, কেক, প্যানকেক— সব রকমই বানাতে পারেন। দুপুরের খাবারেও চলতে পারে ওট্সের খিচুড়ি। বিশেষে করে আপনি যদি ওজন কমানোর ডায়েট করেন।
ডিম
ডিমে শুধু প্রোটিনই নয়, কিছু পরিমাণে ভিটামিন ডি পাবেন। যা সাধারণত মেয়েদের শরীরে এমনিতেই কম থাকে। ডিম দিয়ে নানা রকম রান্না করা সম্ভব। ভুর্জি, পোচ, অমলেট ও আরও অনেক রকম। তবে সেদ্ধ ডিম খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। এমনিতে দিনে একটা করে ডিম এখন ডাক্তাররা খেতে বলেন। তবে কোলেস্টেরল একটু বেশি থাকলে ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। বা সপ্তাহে ৩ দিন খেতে পারেন।