কোন কোন রোগ ঠেকাতে খেতে পারেন বিছুটি পাতার চা? ছবি: শাটারস্টক।
বিছুটি পাতার নাম শুনলেই সারা গায়ে যেন চুলকানি শুরু হয়ে যায়। ছেলেবেলায় কাউকে জব্দ করতে হলে অনেকেই হয়তো রসিকতার ছলে পাতার ব্যবহার করেছেন। তবে এই পাতার স্বাস্থ্যগুণও আছে— সেই খবর রাখেন? এই পাতা শুকনো করে ব্যবহার করলে সুস্বাস্থ্যের দাওয়াই হতেই পারে। বিছুটি পাতায় রয়েছে ফ্যাট, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, প্রোটিন-সহ একাধিক খনিজ উপাদান। নানা রোগের দাওয়াই হতে পারে এই পাতা।
কোন কোন রোগ ঠেকাতে খেতে পারেন বিছুটি পাতার চা?
১) আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বিছুটি পাতার নির্যাস দিয়ে অনেক রকম ব্যথানাশক ওষুধ তৈরি হয়। বাতের ব্যথা উপশমে এই পাতা বেশ উপকারী। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই পাতার চা নিয়মিত খেলে বাতের ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়।
২) বিছুটি পাতার অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ শরীরে যে কোনও রকম সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখতে দারুণ উপকারী। গরমের সময়ে অনেক মহিলাই মূত্রনালিতে সংক্রমণ বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই)-এর সমস্যায় ভোগেন। এই পাতা শরীর থেকে ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়াগুলিকে বার করে দিতে সাহায্য করে।
এই পাতার রস শরীরে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দিতে পারে। ছবি: শাটারস্টক।
৩) গরমে অনেককেই ঘামাচির সমস্যায় নাজেহাল হতে হয়। এ ক্ষেত্রেও বিছুটি পাতার রস খেলে উপকার পেতে পারেন। র্যাশ ও অ্যালার্জির সমস্যা দূর করতে বিছুটি পাতার চা কাজে আসতে পারে।
৪) ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্যেও এই পাতার জুড়ি মেলা ভার। এই পাতার রস শরীরে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এই হরমোন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৫) কিডনিতে পাথর জমলেও এই পাতার চা খেলে উপকার পেতে পারেন। হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও এই পাতার উপর ভরসা রাখতে পারেন।
কী ভাবে বানাবেন বিছুটি চা?
বিছুটি পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এ বার একটি পাত্রে জল গরম করে এক চামচ এই গুঁড়ো মিশিয়ে মিনিট দশেক ফুটিয়ে নিন। তার পর ছেঁকে নিয়েই পান করুন এই ওষুধ।