শুধু দেবতা বা অতিথিকে প্রসন্ন করা নয়, বাড়িতে ধূপ জ্বালিয়ে রাখার রয়েছে আরও অনেক গুরুত্ব। ছবি: সংগৃহীত
পুজো-পার্বণের অন্যতম উপকরণ ধূপকাঠি। পুজো করার সময়ে ধূপ না জ্বাললে কাজটাই যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তবে শুধু পুজোতে কেন, বাড়িতে অতিথি আসার আগে বাড়িঘর সুগন্ধে ভরিয়ে তুলতে অনেকেই ভরসা রাখেন ধূপের উপর। শুধু দেবতা বা অতিথিকে প্রসন্ন করা নয়, বাড়িতে ধূপ জ্বালিয়ে রাখার রয়েছে আরও অনেক গুরুত্ব।
ধূপকাঠি সাধারণত প্রাকৃতিক ভেষজ দিয়ে তৈরি। যার সুবাস মন এবং প্রাণ দুই ভরে রাখে। ধূপকাঠির গন্ধে অনেক ঘরের কীটপতঙ্গ দূর করতেও সাহায্য করে। প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসাবেও বিবেচনা করা হয় ধূপকে। ঘরে ধূপ জ্বালালে কী কী সুফল পাওয়া যায়?
১) ঘরে ধূপ জ্বাললে মানসিক চাপ অনেকটা কমে। মন তো শরীরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে মনের খেয়াল রাখা জরুরি। মন তরতাজা থাকলে শরীরও ভাল থাকবে।
ধূপকাঠি সাধারণত প্রাকৃতিক ভেষজ দিয়ে তৈরি। ছবি: সংগৃহীত
২) মনোসংযোগ বাড়াতে ধূপের তুলনা নেই। কোনও কাজে মনোনিবেশ করার আগে নিজের পছন্দ মতো গন্ধের একটা ধূপ জ্বালিয়ে নিলে মনোসংযোগ বাড়ে। ধূপ মন শান্ত করতে দারুণ কাজ করে।
৩) ঘরে ধূপ জ্বাললে একাগ্রতা বাড়ে। অনেক ক্ষণ ধরে একটি বই পড়ার চেষ্টা করছেন। কিছুতেই তাতে মন দিতে পারছেন না। নানা রকম চিন্তা আপনার মাথায় এসে জমাট বাঁধছে। বইয়ের পাতায় চোখ থাকলেও, মন অন্য কোথাও। এমন সময়ে কিন্তু একটি ধূপ আপনাকে সাহায্য করতে পারে। পছন্দের গন্ধ বেছে নিয়ে ধূপ জ্বালান। মন আপনার আয়ত্তে আসবে।
৪) শরীরচর্চার করার সময়ে একটা ধূপকাঠি জ্বেলে নিতে পারেন। উপকার পাবেন। ধূপের গন্ধ আপনাকে অন্য দিকে মন দিতে বাধা দেবে। শরীরচর্চা করার সময়ে নিষ্ঠা খুব জরুরি। নয়তো দীর্ঘ ক্ষণ ধরে ব্যায়াম করলেও মিলবে না উপকার।
৫) অনিদ্রার সমস্যা ভোগেন অনেকে। বিছানায় শুয়ে পড়লেই সব সময়ে ঘুম আসতে চায় না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে ধূপের সুগন্ধ। ধূপের গন্ধ মন এবং মস্তিষ্ক— দুই-ই শান্ত রাখে। উদ্বেগ দূর করে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি একটা ধূপ জ্বেলে নিতে পারেন, উপকার পাবেন। ঘুমও চলে আসবে দ্রুত।