অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ৫-৬ মাসেই স্ফীতোদর নিয়েই দাপিয়ে বেড়িয়েছেন আলিয়া। ছবি: সংগৃহীত
আলিয়ার সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার দিন আসন্ন। যে কোনও মুহূর্তে খুশির খবর আসতে পারে কপূর এবং ভট্ট পরিবারে। সেই বিশেষ দিনের অপেক্ষায় ‘রণলিয়া’র ভক্তরাও। সূত্রের খবর, মা হওয়ার পর বছর খানেক লম্বা ছুটি নেবেন। তবে এ বিষয়ে এখনও কিছু নিশ্চিত করে জানাননি আলিয়া। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ৫-৬ মাসেই স্ফীতোদর নিয়েই দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। বিদেশ থেকে হলিউড ছবির শ্যুটিং সেরে ফিরেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তাঁর প্রথম প্রযোজিত ছবি ‘ডার্লিংস’-এর প্রচারে। তার পরেই রণবীরকে সঙ্গে নিয়ে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর প্রচারে মুম্বই, দিল্লি কিংবা অন্য শহর— সর্বত্রই মাত করেছেন স্ফীতোদরেই। এমন পরিশ্রমী এবং কাজপাগল নায়িকা মা হওয়া পর কি সন্তানের জন্য কিছু দিনের বিরতি নেবেন? সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে।
বলিউডে অবশ্য তেমন উদাহরণ কম নেই। মা হওয়ার সময় সবচেয়ে বড় ব্রেক নিয়েছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। সেই তালিকায় পিছিয়ে নেই ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনও। আরাধ্যা হওয়ার প্রায় বছর তিনেক পর আবার পর্দায় ফিরেছিলেন অভিনেত্রী। তৈমুর জন্মের পরেও কিছু দিন বিরতি নিয়েছিলেন করিনা কপূর। সম্প্রতি মা হয়েছেন সোনম কপূরও। কবে আবার শ্যুটিং ফ্লোরে ফিরবেন, তা নিয়েও চলছে জল্পনা। শুধু বলিউড কেন? চারপাশে এমন নিদর্শন ভূরি ভূরি রয়েছে।
পৃথিবীতে আসার পর মায়ের স্পর্শ সন্তানের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। মাতৃজঠর থেকে একেবারে অচেনা পৃথিবীতে আসার পর শিশুর সবচেয়ে বড় ভরসা মা। এই সময় একজন শিশুর কাছে তার মায়ের থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। মা হওয়া তো মুখের কথা নয়! অনেক দায়িত্ব থাকে। স্নান করানো থেকে খাওয়ানো— শিশুর দৈনন্দিন যাপনের প্রত্যেকটি ধাপেই যদি মায়ের স্পর্শ থাকে, তার চেয়ে ভাল আর কী হতে পারে!
জন্মের পর সন্তানের পাশে মায়ের উপস্থিতি শিশুর মানসিক বিকাশেও সাহায্য করে। সন্তানের বেড়ে ওঠার সময়ে জন্মদাত্রী পাশে থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক। শুধু যে সন্তানের মাকে দরকার, তা নয়। একটু একটু করে সন্তানের বেড়ে ওঠার সাক্ষী তো মাকেও থাকতে হবে। সন্তান বড় হয়ে যাওয়ার পর তাকে ছোটবেলার দুষ্টুমির গল্প তো মা-ই মনে করিয়ে দেবেন। ছোট থেকে বড় হওয়ার পথে বাবা এবং বাড়ির অন্য সদস্যদেরকেও প্রয়োজন। তবে মায়ের ভূমিকা তো সব সময়ই বেশি থাকে। জীবনের শুরুতে সমস্ত পরিস্থিতিতে সন্তানের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মাকেই। এই সময়টুকু দেওয়া তাকে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।