কোন চাটনির গুণে কমবে পেটের সমস্যা? ছবি: সংগৃহীত।
কবাবের সঙ্গে পুদিনার চাটনি না হলে ঠিক জমে না। স্যান্ডউইচ হোক কিংবা শরবত, পুদিনা পাতা দিলেই স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তবে কেবল রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি করতেই নয়, শরীর চাঙ্গা রাখতেও বেশ উপকারী এই পাতা। শীতকালে পুদিনার চাটনি রোজ খেলে শরীরের কী কী লাভ হবে, রইল হদিস।
১) হজমের সমস্যা দূর করে: শীতকাল মানেই ভূরিভোজ। এই সময়ে যদি হজমের সমস্যা হয়, সে ক্ষেত্রে পুদিনার চাটনি কিন্তু কাজে আসতে পারে। পুদিনায় থাকা যৌগ হজমে সহায়ক উৎসচেকগুলির ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে। গলা, বুকে জ্বালা ভাব কমায়। তবে খেয়াল রাখবেন চাটনিতে যেন লঙ্কা না থাকে। তা হলে কিন্তু উল্টে বিপত্তি বাড়বে। বদহজম হলে এক গ্লাস পুদিনার শরবতও খেতে পারেন।
২) ঋতুকালীন সমস্যা: প্রতি মাসে ঋতুস্রাব চলাকালীন শরীরে যে অতিরিক্ত ফোলা ভাব দেখা যায়, তা অনেকটাই ফ্লুইড বা ‘ইডিমা’ জমার কারণে। এই ফোলা ভাব দূর করতে পারে পুদিনা। ভাত, রুটি বা স্যুপের সঙ্গে এই পুদিনা পাতার চাটনি খেলে এই সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যায়।
৩) অন্ত্রের জন্য ভাল: পুদিনা পাতায় রয়েছে জ়ানথাইন অক্সাইড। এই যৌগটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষায় সহায়তা করে। অন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিক থাকলে, তার প্রভাব পড়ে বিপাক হারের উপরেও। ফলে বিপাকক্রিয়ার উপর নির্ভর করে, ডায়াবিটিসের মতো এমন বহু রোগ ঠেকিয়ে রাখতে পারে পুদিনা।
পুদিনায় থাকা যৌগ হজমে সহায়ক উৎসচেকগুলির ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে: পুদিনা পাতার এই চাটনির স্বাদ আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য অনেকেই এর মধ্যে লেবুর রস, আমচুর পাউডার দেন। এই সব উপকরণের মধ্যেই যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। তাই প্রতিরোধ ব্যবস্থা মজবুত করার পক্ষে সহায়ক এই চাটনি।
৫) মন শান্ত রাখে: অনেক সময়ে বাড়তি কাজের চাপের কারণে বিরক্তি আসে, উদ্বেগ হয়। সেই সমস্যারও সমাধান করতে পারে পুদিনা। পুদিনা নিয়ম করে খেলে স্নায়ু শান্ত থাকে। কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ে।