সারাদিনের কর্মব্যস্ততার মাঝে একটু সময় বার করে সর্বাঙ্গাসন করুন। ছবি: সংগৃহীত
ইদানীং সাধারণ মানুষ যোগাসনের বিষয়ে বেশ সচেতন। তারকারা প্রতিনিয়ত তাঁদের যোগচর্চার ছবি পোস্ট করতে থাকেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সাধারণের উপর তার যথেষ্ট প্রভাবও পড়ে৷ যোগের অজস্র গুণ আছে। মানসিক অবসাদ কমাতে, শরীরের নমনীয়তা বজায় রাখতে, বিভিন্ন রোগব্যাধি দূর করতে যোগাসন দারুণ কার্যকর৷
৩০ পেরোলেই মহিলারা নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। মূলত হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণেই এই সময়ে বিভিন্ন রোগ মহিলাদের শরীরে বাসা বাঁধে৷ সারাদিনের কর্মব্যস্ততার মাঝে একটু সময় বার করে সর্বাঙ্গাসন করুন। যোগশাস্ত্র মতে এই আসনটি করলে সর্বরোগ দূর হয়।
কী ভাবে করবেন?
চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা দু’টি জোড়া করে উপরে তুলুন। এ বার দু’হাতের তালু দিয়ে পিঠ এমন ভাবে ঠেলে ধরুন, যেন ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত এক সরলেরখায় থাকে। থুতনিটি বুকের সঙ্গে লেগে থাকবে। দৃষ্টি থাকবে পায়ের আঙুলের দিকে। স্বাভাবিক ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ে মনে মনে তিরিশ গুনুন। শবাসনে বিশ্রাম নিন। এ ভাবে তিন বার অভ্যাস করুন। আসনটি প্রথম প্রথম দু’থেকে তিন বার করুন। তবে ভাল ভাবে অভ্যস্ত হয়ে গেলে একেবারে মিনিট খানেক সময় নিয়ে আসনটি অভ্যাস করলে আর একাধিক বার করার দরকার হয় না।
প্রতীকী ছবি
উপকারিতা
১) বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য সেরে যায়। পেটের ও অন্ত্রের গোলযোগ দূর হয়।
২) মানসিক অবসাদ দূর করে। অনিদ্রায় ভুগলে এই আসনটি বেশ উপকারী। শরীরকে সুস্থ সবল রাখে। মনে স্ফুর্তি আনে।
৩) সর্বাঙ্গাসন থাইরয়েড গ্রন্থির কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে থাকলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়৷
৪) সদ্য মা হয়েছেন এমন মহিলাদের জরায়ু সুস্থ রাখতে এই আসনের গুরুত্ব অনেক।
৫) এই আসনটি করলে মেরুদণ্ড নমনীয় হয়। জড়তা ও দুর্বলতা সেরে যায়।
৬) শ্বাসকষ্ট, ব্রঙ্কাইটিস, টনসিলাইটিস— এই সব শারীরিক সমস্যা থাকলে এই আসনটি করলে উপকার পাবেন।
৭) অকাল বার্ধক্য রোধ করে এবং যৌবন দীর্ঘস্থায়ী করে।
নিষেধ
হৃদ্রোগীদের এবং বারো-তেরো বছরের কম বয়সের ছেলেমেয়েদের আসনটি করা উচিত নয়। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে এই আসনটি কখনওই করবেন না। ঘাড়ে চোট-আঘাত থাকলে কিংবা চোখে রেটিনা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকলে এই আসন না করাই ভাল।