শীতে রোজের পাতে থাক মাছ। ছবি: সংগৃহীত।
বাঙালির হেঁশেলে মাছ রান্নার কোনও মরসুম নেই। বারোমাসে তেরোপার্বণে আর কিছু থাক বা না থাক, মাছের পদ তো থাকবেই। ভেটকি থেকে তপসে ফ্রাই, কালিয়া থেকে পাতলা ঝোল— মাছ থাকলে আর কিছু দরকার হয় না। বাঙালির মৎস্যপ্রেমের কথা মাথায় রেখেই চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শীতকালে প্রায় প্রতি দিনই মাছ খেতে পারলে ভাল। মাছ যে শুধু রসনাতৃপ্তি দেয় তা তো নয়, খেয়াল রাখে শরীরেরও। শীতে এমনিতেই নানা রোগাবালাই লেগে থাকে। শীতের সুরক্ষাকবচ হতে পারে মাছ। ঠিক কোন কারণগুলির জন্য মাছ শীতে বেশি করে মাছ খাবেন?
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে
শীতে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ এই সময় খাওয়াদাওয়ায় একেবারেই নিয়ম মানতে ইচ্ছা করে না। তবে মাছ খেলে কিন্তু ওজনের পাল্লা বেশি ভারী হবে না। কারণ মাছে রয়েছে প্রোটিন, যা ওজন ধরে রাখতে অনবদ্য ভূ্মিকা পালন করে।
হার্টের যত্নে
শীতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে। তাই এমন কিছু খাবার খেতে হবে যা হার্টের খেয়াল রাখে। মাছ সেই তালিকায় একেবারে উপরের দিকে রয়েছে। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ হৃদয়ের যত্ন নিতে খুবই দক্ষ। কারণ এই মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড , যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
পেশি মজবুত করতে
শীতকালে পেশিতে ব্যথা, গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা লেগেই আছে। তা ছাড়া বয়স বেশি হলে হিমেল হাওয়ায় ব্যথা যেন দ্বিগুণ হয়। ব্যথার সঙ্গে লড়াই করতে ভরসা রাখতে পারেন মাছের উপর। মাছের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান প্রদাহজনিত সমস্যার অবসান ঘটায়।
মন ভাল রাখতে
শীতে সূর্যের আলো কম থাকে। ফলে ভিটামিন ডি কম শোষিত হয়। ভিটামিন ডি-এর অভাবে মনের কোণেও মেঘ জমতে থাকে। বাড়ে উদ্বেগ আর অবসাদ। মনের মেঘ কাটাতে মাছ হতে পারে ‘ওষুধ’। কারণ মাছে ভরপুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন ডি।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে
শীতে প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া জরুরি। আর সেই জন্যেও রোজ মাছ খেতে হবে। মাছে রয়েছে ভিটামিন ডি, যা রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায়। এ ছাড়া মাছে থাকা সেলেনিয়ামও প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।