ওজন ঝরবে তুলসীর বীজ দিয়েই। ছবি: সংগৃহীত।
সর্দিকাশি হলেই বাড়ির দিদিমা-ঠাকুমারা বলেন তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে। তাতেই নাকি দ্রত রেহাই মিলবে! আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, বিভিন্ন রোগ ঠেকাতে তুলসী পাতা দারুণ উপকারী। তবে শুধু পাতাই নয়, তুলসীর বীজও শরীর চাঙ্গা রাখতে কার্যকর। কুলফি, ফালুদার স্বাদ বৃদ্ধি করতে এই বীজ ব্যবহার করা হয়। অনেকেই বোধ হয় সেই খাবার চেখেও দেখেছেন। তবে এই বীজের স্বাস্থ্যগুণ অনেকেরই অজানা। জেনে নিন, এই বীজ খাওয়া কেন স্বাস্থ্যকর।
১) রোজ নিয়ম করে জলে ভিজিয়ে রাখা তুলসীর বীজ খেলে হজম ভাল হয়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর এই বীজ খিদে কমাতে সাহায্য করে। ওজন কমাতেও বেশ সহায়ক।
২) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন? এই সমস্যার সমাধানে তুলসীর বীজের উপর নির্ভর করতেই পারেন। এই বীজ গরম জল বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে গ্যাসের ব্যথায় আরাম পাবেন, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও রেহাই পেতে পারেন।
৩) তুলসীর বীজে উপস্থিত ডায়েটারি ফাইবার রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত এই বীজ খেলে ডায়াবেটিক রোগীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
তুলসীর বীজ খাওয়া কেন স্বাস্থ্যকর? ছবি: সংগৃহীত।
৪) তুলসীর বীজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে, যা ত্বকের পক্ষে খুব ভাল। নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে এই বীজ ব্যবহার করলে এগজ়িমা এবং সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তুলসীর বীজে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৫) তুলসীর বীজ রক্ত পাতলা করে শরীরে রক্তের সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
কী ভাবে খাওয়া যায় এই বীজ?
জল কিংবা দুধে ভিজিয়ে রোজ নিয়ম করে এই বীজ খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর স্মুদিতে, দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে কিংবা পুডিংয়েও তুলসীর বীজ মিশিয়ে খেতে পারেন।