রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত খেতে পারেন গ্রিন কফি। ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ ক্ষণ কাজ করার ক্লান্তি মুছতে এক কাপ কফি বড়ই কাজ দেয়। দুধ, চিনি দিয়ে তৈরি কফির কাপে চুমুক দিতেই ক্লান্তি উধাও এক নিমেষে।
স্বাস্থ্যসচেতনরা আবার দুধ চিনি ছাড়া কালো কফি খেতেই বেশি পছন্দ করেন। অনেকে আবার শরীরচর্চার আগে কালো কফি দিয়ে শুরু করেন ব্যায়াম। বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গ্রিন কফি।
এই কফির রং হল সবুজ। তবে বাণিজ্যিক কারণে কফি বীজকে গুঁড়ো করে খয়েরি বা বাদামি রং দেওয়া হয়। কফির মধ্যে থাকে ক্যাফেইন ও ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড। মানুষের শরীরে বিপাক ক্রিয়ার ভাল মন্দের উপর ক্যাফেইনের একটি ভূমিকা রয়েছে। ক্লোরোজেনিক অ্যাসিডের সাহায্য ক্যাফেইন পৌষ্টিকনালীতে কার্বোহাইড্রেট শোষণ কমাতে পারে।
গ্রিন কফি শরীরে যত্ন নেয় কী ভাবে?
ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে
ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেক মানুষ। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত খেতে পারেন গ্রিন কফি। বিশেষ করে গ্রিন কফির ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
শরীরের বর্জ্য পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে
পুষ্টিবিদরা বলছেন, গ্রিন কফি পান করার ফলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে জমে থাকা বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। গ্রিন কফি লিভার সুস্থ রাখে। সেই সঙ্গে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়তে দেয় না।
বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গ্রিন কফি। ছবি: সংগৃহীত
শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে
গ্রিন কফিতে উপস্থিত ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড শরীরের বিপাক ক্রিয়া উন্নত করে। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ওজন বাড়তে পারে না। বাড়তি মেদ ঝরাতে শরীরচর্চার পাশাপাশি গ্রিন কফিও খেতে পারেন।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, কাজের চাপ, উদ্বেগ সব মিলিয়ে বয়স নির্বিশেষে রক্তচাপের সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন উপকারী উপাদান সমৃদ্ধ গ্রিন কফি রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। নিয়মিত গ্রিন কফি খেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যার চটজলদি সমাধান হয়।