ছবি: সংগৃহীত।
প্রযুক্তিবিদ অতুল সুভাষের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই একাধিক পুরুষ তাঁদের স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে হয়রানি এবং মানসিক চাপ সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছেন। এ বার সে রকমই এক অভিযোগ তুলে চরম পদক্ষেপ করলেন আরও এক যুবক। উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের ওই যুবক স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পর প্রকাশ্যে বিষও খান। শুধু তাই নয়, সেই ঘটনা ক্যামেরাবন্দিও করেন। সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ঘটনাটি কবে ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল কোথায় তা-ও ওই ভিডিয়ো থেকে স্পষ্ট নয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিডিয়োয় যে যুবককে দেখা গিয়েছে তাঁর নাম রাহুল। ওই ভিডিয়োয় স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। রাহুল ভিডিয়োয় দাবি করেছেন, স্ত্রী জ্যোতি এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা তাঁর কাছে ১২ লক্ষ টাকা চেয়েছেন। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টাও করেছেন। রাহুলকে বলতে শোনা যায়, “আমি টাকা কোথা থেকে পাব? আমি মরতে চাই না, কিন্তু আমার আর কোনও উপায় নেই।” তাঁর অভিযোগ, স্ত্রী তাঁকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। ফলে তাঁর জীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। রাহুলকে কাঁদতে কাঁদতে এ-ও বলতে শোনা গিয়েছে, “আমার স্ত্রী এবং তাঁর পরিবার আমাকে মারধর করছে এবং মানসিক ভাবে নির্যাতন করছে। আমি ন্যায়বিচারের জন্য ভিক্ষা করেছি, কিন্তু কেউ শোনেনি। আমি মরে গেলে ওরা কার বিরুদ্ধে মামলা করবে? সেই কারণে আমি নিজেকে শেষ করছি।” তিনি আরও বলেন, “আজ আমার শেষ দিন। আমি বাঁচতে চাই না।” এর পরেই এক গ্লাস জলে বিষ গুলে খেতে দেখা যায় তাঁকে। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষ খাওয়ার পর রাহুলকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। মুজফ্ফরনগর পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলেও খবর।
ভাইরাল ভিডিয়োটি রবিবার ‘সচিন গুপ্ত’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেটি বহু মানুষ দেখেছেন (ভিডিয়োটি আনন্দবাজার ডট কমও দেখেছে। কিন্তু দায়িত্ববান সংবাদমাধ্যম হিসাবে সেই ভিডিয়ো প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।)। ভিডিয়ো দেখে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। অনেকেই স্ত্রী এবং স্ত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে স্বামীদের উপর অত্যাচারের ক্রমবর্ধমান অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা রোধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবিও জানিয়েছেন।