Ranya Rao’s Gold Smuggling Case

নভেম্বরে বিয়ে, ডিসেম্বরেই ‘বিচ্ছেদ’! গ্রেফতারি এড়াতে আদালতে দাবি রান্যার স্বামীর

রান্যা রাওয়ের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকায় তদন্তের স্বার্থে যতীন হুক্কেরিকে হেফাজতে নেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল। গ্রেফতারি এড়াতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫ ১৭:১৫
Share:
Ranya Rao\\\'s husband told to court that married in November, but separated month later

সোনা পাচার মামলায় গ্রেফতারি এড়াতে আদালতের দ্বারস্থ কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাওয়ের (ডান দিকে) স্বামী যতীন হুক্কের (বাঁ দিকে)। —ফাইল চিত্র।

সোনা পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন স্ত্রী। বর্তমানে বেঙ্গালুরুর রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের (ডিআরআই) হেফাজতে রয়েছেন। সেই মামলাতেই নাম জড়িয়েছে কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাওয়ের স্বামী যতীন হুক্কেরির! গ্রেফতারির আশঙ্কায় এ বার তিনি আদালতের দ্বারস্থ হলেন। তাঁর আইনজীবীর দাবি, গত নভেম্বরে যতীনের সঙ্গে রান্যার বিয়ে হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু এক মাস পর থেকে তাঁরা আলাদা থাকছেন! অর্থাৎ সোনা পাচার মামলায় যতীন কোনও ভাবেই যুক্ত নন। তাঁর স্ত্রী কী করেছেন, সে সম্পর্কে অবগত নন বলেও আদালতে দাবি যতীনের আইনজীবীর।

Advertisement

গত ৩ মার্চ বেঙ্গালুরুর বিমানবন্দর থেকে প্রায় ১৪ কেজি সোনার বিস্কুট-সমেত গ্রেফতার হন রান্যা। অভিযোগ ওঠে, দুবাই থেকে সোনা নিয়ে এসে ভারতে পাচার করার ছক ছিল তাঁর। পরে অভিনেত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দু’কোটির বেশি মূল্যের বেনামী সোনা এবং নগদ উদ্ধার হয়। সেই মামলাতেই নাম জড়ায় অভিনেত্রীর স্বামীর। গোয়েন্দাদের আতশকাচের নীচে রয়েছেন তিনি। যদিও কর্নাটক হাই কোর্ট আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত তাঁকে রক্ষাকবচ দিয়েছে।

রান্যার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকায় তদন্তের স্বার্থে যতীনকে হেফাজতে নেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল। গ্রেফতারি এড়াতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। গত ১১ মার্চ হাই কোর্ট জানায়, আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত যতীনের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবেন না তদন্তকারীরা। সোমবার তাঁর আইনজীবী মধু রাও আদালতে জানান, রান্যার সঙ্গে তাঁর মক্কেলের বিয়ে হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু কিছু সমস্যার জন্য ডিসেম্বর থেকেই দু’জনে আলাদা থাকেন। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁদের এখনও বিচ্ছেদ হয়নি।

Advertisement

উল্লেখ্য, সোনা পাচার মামলায় ডিআরআই-এর আবেদনের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। পরে এই একই মামলায় তদন্ত শুরু করে ইডিও। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের ঘটনার দিন তিনেক পর মুম্বই বিমানবন্দর থেকেও প্রচুর সোনা উদ্ধার হয়। সেই সোনাও দুবাই থেকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে আনা হচ্ছিল বলে মনে করেন তদন্তকারীরা। তাঁদের অনুমান, দুবাই থেকে কোনও এক চক্র এই সোনা পাচারের নেপথ্যে রয়েছে। যদিও সেই ব্যাপারে কোনও সূত্র মেলেনি বলেই খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement