Health Tax

Health Tips: স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন? ফল-সব্জির খোসা ফেলে না দিয়ে কাজে লাগাবেন কী ভাবে

এমন অনেক ফল ও সব্জি রয়েছে, যার আসল গুণ লুকিয়ে রয়েছে খোসাতেই। ফল বা সব্জির খোসায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকের জন্য খুব ভাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২২ ১১:৫০
Share:

তরমুজ খেয়ে খোসা ফেলে দেন? জানেন এর কত গুণ

সুস্বাস্থ্যের জন্য ফল ও সব্জির গুণাগুণ কারও অজানা নয়। সব বাড়িতেই প্রতি দিন কোনও না কোনও সব্জি রান্না হয়। ফলও আমাদের রোজের খাদ্যতালিকায় থাকেই। রান্নার পর সব্জি ও ফলের খোসা ফেলে দেন নিশ্চই?

Advertisement

এমন অনেক ফল ও সব্জি রয়েছে, যার আসল গুণ লুকিয়ে রয়েছে খোসাতেই। নামী-দামি প্রসাধনী ব্যবহার করেও ত্বকের নানা ধরনের সমস্যায় জেরবার অনেকেই। ফল বা সব্জির খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের জন্য খুব ভাল।

কলার খোসা: কলা ছাড়িয়ে তার খোসা মুখে লাগিয়ে নিতে পারেন। এই খোসায় শুধু আপনার মুখের কালচে দাগ দূর হবে না, ত্বক টানটানও থাকবে। এতে মুখের গর্ত বা রন্ধ্রগুলি অনেকটা মিলিয়ে যায়। ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম আর পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ এই খোসা দাঁতের জেল্লা ফেরাতেও সাহায্য করে। দাঁতে হলুদ ছোপ পড়লে কলার খোসা ঘষে নিলেই হবে মুশকিল আসান।

Advertisement

আলুর খোসা: আলুর খোসা ফাইবারে পরিপূর্ণ। খোসা ছাড়ালে আলুর পুষ্টিগুণ অনেকটাই কমে যায়। বিপাক হার বাড়াতে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি দারুণ উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলেও আলুর খোসা খেলে উপকার পাবেন। আলুর খোসার মধ্যে থাকা নানা রকম উৎসেচক ও ভিটামিন সি ত্বকের কালো ছোপ, চোখের তলায় কালি, ফোলা ভাব, ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করে। এর অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।

আপেলের খোসা: আপেলের খোসাতেও প্রচুর ফাইবার থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। আপেলের খোসা ভিটামিন সি এবং এ সমৃদ্ধ। তাই এটি ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। খোসার মধ্যে রয়েছে আরসোলিক অ্যাসিড যা ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে।তাই খোসাসমেত আপেল খেলে স্থূলতার ঝুঁকি কমে।

প্রতীকী ছবি

কমলালেবুর খোসা: কমলালেবুতে যে পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে, তার থেকে প্রায় পাঁচ থেকে দশ গুণ বেশি ভিটামিন রয়েছে খোসায়। এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ফলেট, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম। বিভিন্ন রান্নায় এই খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এমনকি হার্টের রোগীদের জন্য এই খোসা উপকারী। ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও এই খোসার কোনও তুলনা নেই।

তরমুজের খোসা: ভাবছেন নিশ্চয়ই, তরমুজের এত শক্ত খোসা আবার কী করে খাবেন? না, একেবারে বাইরের সবুজ খোসা নয়, তরমুজ কাটলে লাল তরমুজের গায়ে সাদা রঙের যে অংশ থাকে, তা-ও অনেকে কেটে বাদ দিয়ে দেন। তরমুজের ওই সাদা অংশেই থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বি৬ ও সিট্রুলিন নামে অ্যামিনো অ্যাসিড, যা রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ উপকারী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement