হার্টের সমস্যা থেকে দূরে থাকুন। ছবি: সংগৃহীত।
ঘর এবং বাইরের ঝক্কি একসঙ্গে সামলাতে গিয়ে রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরলের মতো ক্রনিক রোগের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। আর এই শারীরিক অসুস্থতার হাত ধরেই জন্ম নিচ্ছে হার্টের অসুখ। কম বয়স থেকেই হার্টের সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। শুধু রোজকার অনিয়ম নয়, হৃদয়ের অসুখের নেপথ্যে আছে বংশগত কারণও। পরিবারে কারও হার্টের সমস্যা থাকলে ঝুঁকি একটু বেশিই থাকে। তবে চিকিৎসকেরা অবশ্য বলেন, সেটাই একমাত্র কারণ নয়। তবে, সাবধানে থাকার কোনও বিকল্প নেই। বাবা, মা কিংবা পরিবারের অন্য কারও যদি হার্টের সমস্যা থাকে, তা হলে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন কোন উপায়ে?
১) কলেজ অথবা অফিস ফেরত ডোবা তেলে ভাজা স্প্রিং রোল কিংবা এগরোলে কামড় না বসালে মনটা খুঁতখুঁত করে অনেকেরই। রোজ এই ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস ডেকে আনছে হৃদ্রোগ। তাই সুস্থ থাকতে তেলে ভাজা খাবার থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকাই শ্রেয়। বাড়ির খাবারের প্রতি ভালবাসা তৈরি করতে হবে। দরকার হলে বাড়িতেই মাঝেমাঝে বানিয়ে নিন মুখরোচক খাবার।
২) সকাল থেকে রাত ছুটে বেড়ানোর নাম শরীরচর্চা নয়। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে শরীরচর্চার জন্য রাখতে হবে। যোগাসন বা অন্য ব্যায়াম অল্প সময়ের জন্য হলেও নিয়ম করে এক বার করা প্রয়োজন। শরীরচর্চার অভাসে দূরে পালায় হৃদ্রোগ।
কম বয়স থেকেই অতিরিক্ত ধূমপানের অভ্যাসে হৃদ্যন্ত্রে নানা গোলমাল দেখা দিতে শুরু করে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) কম বয়স থেকেই অতিরিক্ত ধূমপানের অভ্যাসে হৃদ্যন্ত্রে নানা গোলমাল দেখা দিতে শুরু করে। এমনিতে হার্টের কোনও সমস্যা থাকলে ধূমপান না করতেই বলা হয়। কারণ এই অভ্যাসের হাত ধরেই শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগবালাই। ঝুঁকি এড়াতে তাই ধূমপানের অভ্যাসে ইতি টানা জরুরি।
৪) সম্পর্কের জটিলতা, কম বয়সে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছনোর আকাঙ্ক্ষা, পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার চাপ সব মিলিয়ে সব সময়েই উদ্বেগ কাজ করে অনেকের মধ্যেই। মানসিক চাপ হৃদ্রোগের অন্যতম নেপথ্য কারণ। কম বয়সে সুস্থ ভাবে ছুটে বেড়াতে হলে মানসিক ভাবে আনন্দে থাকে জরুরি।