নিজেদের যত্ন নিন পুরুষরাও। ছবি : সংগৃহীত
‘বাবারা সব পারে’— এই কথাটি উল্টো দিকের মানুষগুলির কাছে অত্যন্ত ভরসার। হাসিমুখে সব সয়ে যাওয়া ‘বাবা’ নামের মানুষগুলি সব সময়েই আমাদের কাছে ‘সুপারহিরো’। মায়েদের যত্নের প্রয়োজন থাকলেও, বাবারা মনে করেন, তাঁদের আলাদা করে দেখভালের প্রয়োজন নেই।
পুরুষরা বাইরে থেকে নিজেদের যতটা শক্ত-সবল মনে করেন, সকলে কিন্তু ততটা নন। জীবন এখন অনেকটাই গতিময় হয়ে গিয়েছে। কাজের চাপ তো আছেই, পরিবারের চাপও কম থাকে না পুরুষদের মাথায়। তার উপর ধূমপান, মদ্যপান, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তো কথাই নেই। কম বয়সে তেমন সমস্যা না হলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। পারিপার্শ্বিক চাপে শারীরিক বা মানসিক ভাবে ন্যুব্জ হওয়ার চেয়ে ভাল সময় থাকতে থাকতেই শরীরের যত্ন নেওয়া জরুরি।
সারা দিনের ব্যস্ত রুটিন থেকে সময় বার করে নিতেই হবে। ছবি : সংগৃহীত
পুরুষরা নিজের রুটিনে প্রতি দিন কী কী যোগ করলে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ এবং সবল থাকবেন?
১) নিয়মিত টাটকা সব্জি খান
মেয়েদের তুলনায় পুরুষরাই বেশি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। নিয়মিত রক্তচাপ মাপার কথা ভুলেও যান। উচ্চ রক্তচাপ থেকে হার্ট সম্পর্কিত নানা জটিলতা এড়াতে তাই প্রতি দিন সবুজ শাকসব্জি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
২) শরীরচর্চা করুন
সারা দিনের ব্যস্ত রুটিন থেকে সময় বার করে নিতেই হবে। সকালে উঠে শুধু হাঁটাহাটি করলে হবে না। শারীরিক কোনও সমস্যা না থাকলে অল্প-বিস্তর ওজন তোলার চেষ্টা করুন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের পেটে মেদ জমার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। তাই কোমর এবং পায়ের ব্যায়াম করুন।
৩) ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি
সারা দিন কাজের পর, বাড়ি ফিরেও রাত জেগে সিনেমা দেখার অভ্যাস থাকলে, তা ছাড়তে হবে। কারণ প্রতিটি মানুষেরই দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি। ঘুমের ঘাটতি হলে কাজে তো মন বসবেই না। দীর্ঘ দিনের এই ঘাটতি নানা রোগ বয়ে নিয়ে আসবে।
৪) পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি খেতে হবে
মেয়েদের তুলনায় পুরুষরা কায়িক পরিশ্রম করেন বেশি। তাই হাড়ের স্বাস্থ্য মজবুত করতে শুধু খাবারের উপর ভরসা করলে চলবে না। বেশির ভাগ সময়েই কাচবন্ধ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে কাজ করলে পর্যাপ্ত সূর্যালোক গায়ে লাগে না পুরুষদের। তাই খাবারের সঙ্গে সঙ্গে বাইরে থেকে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেণ্ট খেতে হবে।