সন্তানের জন্ম নেওয়ার আগে এবং পরে শারীরিক ও মানসিক নানা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় মেয়েদের। ছবি : সংগৃহীত
সদ্য মা হয়েছেন? আপনার এবং পরিবারের সকলের মন জুড়ে এখন সদ্যোজাতটি। সে তো ভাল কথা। কিন্তু মা হওয়া তো মুখের কথা নয়। সন্তানের জন্ম নেওয়ার আগে এবং পরে শারীরিক ও মানসিক নানা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় মেয়েদের। মা হওয়ার আগে মনের মধ্যে নানা রকম চিন্তা, ভয় কাজ করে। মা হওয়ার পর আবার নিজের সঙ্গে যোগ হয় সন্তানটির চিন্তাও। পাশাপাশি চলতে থাকে শারীরিক, মানসিক এবং পারিপার্শ্বিক নানা পরিবর্তন। সব কিছুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে নিজের শরীর নিয়ে অবহেলা করলে তার ফল মোটেই ভাল হবে না।
চিকিৎসকদের মতে সন্তান জন্মের আগে এবং পরে, এই লম্বা সময়টি জুড়েই মায়েদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। কারণ সন্তান জন্ম নেওয়ার পর মায়েদের শরীর থেকে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন নামক দু’টি হরমোন অস্বাভাবিক হারে কমতে থাকে। যার প্রভাব পড়ে মায়েদের মন, শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ এবং বিপাকহারে। শুধু তা-ই নয়, এর সঙ্গে সমান তালে চলতে থাকে স্তন্যপান করানো।
মা হওয়ার পর হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতে, হাড় এবং চুলের যত্নে প্রতিদিন খাবারে রাখতেই হবে বিশেষ কিছু উপাদান।
সন্তানের জন্মের পর মায়ের কী কী উপাদান জরুরি?
১) আয়রন
মা হওয়ার পর জরায়ু থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু শরীরে পুনরায় রক্ত তৈরি করতে না পারলে রক্তাল্পতায় ভুগতে হবে।
কী কী খাবেন?
ওষুধের সঙ্গে প্রতি দিন পাতে রাখুন টাটকা সতেজ শাক-সব্জি, মাংস, ডিম, দুধ।
সন্তান জন্মের আগে এবং পরে, এই লম্বা সময়টি জুড়েই মায়েদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। ছবি : সংগৃহীত
২) আয়োডিন
যে সকল মা স্তন্যপান করান, তাঁদের শরীরে খনিজের ঘাটটি হতে দেখা যায়। থাইরয়েডের ভারসাম্য ঠিক রাখতে হলে খাবারে আয়োডিন যোগ করতেই হবে।
কী কী খাবেন?
অ্যালার্জি না থাকলে সামুদ্রিক মাছ, ইয়োগার্ড, দুধ খেতে পারেন।
৩) ক্যালশিয়াম
এ সময়ে শরীরে ক্যালশিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে বেশি করে দুধ খেতে বলেন চিকিৎসকরা। কারণ শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালশিয়াম না থাকলে মা ও শিশুর হাড় মজবুত হবে না।
কী কী খাবেন?
দুধ ছাড়াও তিল, বিভিন্ন ধরনের বীজ, দানাশস্য, ছোট মাছ খাওয়া যেতে পারে।
৪) ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
মাতৃত্বকালীন অবসাদ থেকে মুক্তি দিতে পারে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। পাশাপাশি, সন্তান জন্মের পর মায়ের শরীরে যে ক্ষয় হয়, তা-ও পূরণ করতে সাহায্য করে এই যৌগটি।
কী কী খাবেন?
বিভিন্ন ধরনের বাদাম, তিসির বীজ, তৈলাক্ত মাছ খাওয়া যায় এই সময়ে।