মা হওয়ার পরে দ্রুত ওজন ঝরিয়ে রোগা হয়েছেন আলিয়া ভট্ট। ছবি:সংগৃহীত।
কয়েক মাস আগেই মা হয়েছেন আলিয়া ভট্ট। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেকটাই ওজন বেড়ে গিয়েছিল নায়িকার। অথচ মেয়ের জন্মের কয়েক দিনের মাথায় একেবারে আগের চেহারায় ধরা দিয়েছিলেন আলিয়া। এত কম সময়ে ছিপছিপে হয়ে অনেককেই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন নায়িকা। শরীরে নতুন প্রাণের সঞ্চার হওয়ার সময় থেকেই বদলে যেতে থাকে অনেক কিছু। মানসিক বদলের পাশাপাশি বাহ্যিক চেহারাতেও আমূল পরিবর্তন আসে। ওজন বেড়ে যায়। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বৃদ্ধি পাওয়া ওজন সহজে ঝরানো যায় না। মা হওয়ার পর রোগা হতে নায়িকারা যে কঠোর নিয়মের মধ্যে দিয়ে যান, সকলের পক্ষে তা সম্ভব নয়। তবে কয়েকটি খাবার নিয়মিত খেলে ওজন কমতে পারে দ্রুত।
আদা
ওজন ঝরাতে আদার ভূমিকা অনবদ্য। হেঁশেলের অন্যতম উপকারী এই আনাজ বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। সদ্য যাঁরা মা হয়েছেন, দ্রুত রোগা হতে ভরসা রাখতে পারেন আদার উপর। আদা হজমশক্তি উন্নত করে। সেই সঙ্গে পেটের খেয়াল রাখে। চায়ে আদার টুকরো দিয়ে খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
লেবু
মা হওয়ার পর বাড়তি ওজন কমানোর অন্যতম পথ হতে পারে লেবু। এতে থাকা অ্যাসিড চর্বি গলাতে সাহায্য করে। বাড়তি মেদও ঝরে যায় এর ফলে। শরীর ভিতর থেকে পরিষ্কার রাখে লেবু। লেবু জলের সঙ্গে এক চিমটে চিয়া বীজ মিশিয়ে রোজ সকালে খেতে পারেন। ওজন কমবে।
মেথি
ওজন কমানোর আরও একটি উপাদান হল মেথি। রোগা হওয়ার পর্বে অনেকেই ভরসা রাখেন মেথির উপর। চর্বি গলিয়ে দেয় এমন কিছু উপাদান রয়েছে মেথিতে। ফলে রোগা হতে খেতেই পারেন মেথি। আগের রাতে ভিজিয়ে রাখা মেথির জল পরের দিন সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। নিয়ম করে খেলে উপকার পাবেন।
কাঁচা হলুদ
ওজন কমানোর জন্য আরও একটি উপকারী জিনিস হল কাঁচা হলুদ। এতে থাকা কারকিউমিন হল অন্যতম অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত চর্বি গলাতেও সাহায্য করে এই হলুদ।