খুদের রুচি ফিরবে কিসে? ছবি: সংগৃহীত।
কখনও বৃষ্টি, কখনও আবার হঠাৎ গরম। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের এই মরসুমে ঘরে ঘরে এখন শিশুরা জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগছে। একেই বাড়ির খুদেদের খাবার নিয়ে বায়নার শেষ থাকে না, পছন্দের খাবার না পেলে তারা খেতে চায় না, তার উপরে অসুস্থতার কারণে খাবারের প্রতি আরও অরুচি জন্মায়। জ্বরের সময় একেই শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তার উপরে কিছু না খেলে শরীরের প্রতিরোধ শক্তিও বাড়বে না।
সংক্রমণ সারাতে শিশু অ্যান্টিবায়োটিক খেলে তো কথাই নেই। সারা দিন মুখে লেগে থাকে তিতকুটে ভাব, কোনও খাবারেই স্বাদ পায় না সে। এই স্বাদহীন ভাব জ্বরের অন্যতম উপসর্গ। পছন্দের খাবার পেলেও খেতে আগ্রহী হয় না। এই অরুচি যেন আরও ভয়ানক। কী ভাবে শিশুর অরুচি কাটাবেন? কী খাওয়াবেন, রইল হদিস।
১) এই সময় শিশুকে ডিম খাওয়াতে হবে। খুদের বয়স তিন বছরের বেশি হলে তাকে ডিম সেদ্ধ না দিয়ে অল্প তেলে এগ রোল বানিয়ে দিতে পারেন।
২) রোগে ভুগলে মাছের প্রতি অনীহাও জন্মায়, তাই তৈরি করে দিন মাছের টিকিয়া বা চপ। এ ছাড়া ভেটকি দিয়ে গ্রিলড ফিশ বানিয়েও খুদের স্বাদবদল করতে পারেন। সঙ্গে অল্প মাখনে ভাজা সব্জি আর আলুমাখাও দিতে পারেন।
জ্বরের সময় একেই শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, তার উপরে কিছু না খেলে শরীরের প্রতিরোধ শক্তিও বাড়বে না। ছবি: শাটারস্টক।
৩) চিকেন স্যান্ডউইচ দিতে পারেন। আর চিকেন স্টু বানালে তাতে আনাজ ও মাখন যোগ করুন। এ ছাড়া কর্ন দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন সুইটকর্ন চিকেন স্যুপ।
৪) স্বাদবদল করতে শিশুর জন্য বানিয়ে ফেলতে পারেন আলুকাবলি, কিংবা আলুর পরোটা।
৫) খুদে ভাত, রুটি কিছুতেই খেতে চাইছে না? সব রকম আনাজ আর ডিম দিয়ে ফ্রায়েড রাইস বানিয়ে দিন। শুধু খিচুড়ি খেতে না চাইলে খিচুড়ির মধ্যে দিয়ে দিন বিভিন্ন ধরনের সব্জি ও আর মুরগির মাংসের টুকরো, সঙ্গে একটু বেশি করে ঘি কিংবা মাখন।
৬) খুদের বয়স দু’বছরের বেশি হলে লুচি আর সাদা আলুর চচ্চড়িও বানিয়ে দিতে পারেন।
৭) এই সময় খুদেকে ঠান্ডা আইসক্রিম দেওয়া চলবে না। তবে আইসক্রিম দিয়ে মিল্ক শেক বানিয়ে দিতে পারেন, তাতে কলা, স্ট্রবেরির মতো ফলও দিয়ে দিতে পারেন। যদি তরল খাবারের প্রতি আগ্রহ দেখায়, মিল্কশেক কাজে দেবে। ক্যালোরিও পাবে। খুদে জ্বরের সময় দুধ খেতে না চাইলে তার বদলে ফল দিয়ে কাস্টার্ড বানিয়ে দেখতে পারেন।
শিশুর স্বাদ বদলাতে মুখরোচক খাবার দিন তাকে। তবে সেই খাবার যেন বাড়িতে বানানো হয়, সে দিকে নজর রাখুন। দোকানের পাস্তা, পিৎজ়া, রোল, চাউমিন ভুলেও দেবেন না। সঙ্গে বাচ্চাদের খেলাধুলোর মধ্যে রাখুন। এতে খিদে পাবে, হজমও হবে ভাল।