এক বার মনে অবসাদ জাঁকিয়ে বসলে সহজে তা যেতে চায় না। ছবি: সংগৃহীত।
ব্যক্তিগত সমস্যা, কর্মক্ষেত্রে জটিলতা, দৈনন্দিন যাপনে নানা ধরনের দ্বন্দ্ব, আত্মবিশ্বাসের অভাব— এই কারণগুলি মনের উপর চাপ বাড়ায়। দীর্ঘ দিন ধরে এই ধরনের পরিস্থিতি চলতে থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই অবসাদ গ্রাস করে মনে। এক বার মনে অবসাদ জাঁকিয়ে বসলে সহজে তা যেতে চায় না। অনেকেই সেই অবসাদ কাটাতে ভরসা রাখেন মুঠো মুঠো ওষুধে। তাতে যে সব সময়ে সমাধান পাওয়া যায়, তা নয়। বরং মানসিক অবসাদ কাটাতে ভরসা রাখতে হবে কয়েকটি খাবারে। খাবার শুধু শরীরকে পুষ্টি দেয় না, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। সেও। অবসাদে ভুগলে তাই শুধু ওষুধ নয়, নজর রাখতে হবে খাদ্যাভ্যাসেও। মন যদি অবসাদে ডুবে থাকে, তা হলে এমন কিছু খাবার খান, যা মনকে চাঙ্গা এবং তরতাজা রাখে।
সামুদ্রিক মাছ
অবসাদ দূর করতে রোজের পাতে রাখুন তৈলাক্ত মাছ। এই ধরনের মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। এমনকি, বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমেও জানা গিয়েছে যে, মাছ যাঁরা বেশি খান, তাঁদের অবসাদজনিত সমস্যা অনেক কম হয়।
অবসাদে ভুগলে তাই ওষুধ নয়, নজর রাখতে হবে খাদ্যাভ্যাসেও। ছবি: সংগৃহীত।
বাদাম
বাদাম খেতে ভালবাসেন? অবসাদ কাটাতে খেতে পারেন কাজু, হেজ়েল নাট, আখরোটের মতো বাদাম। প্রত্যেকটিতেই প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন আখরোট খেলে। কারণ, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও এর জুড়ি নেই। প্রতিদিন ১/৪ কাপ আখরোট খেলে অবসাদের প্রবণতা কমবে।
চিয়া বীজ
রোজ স্যালাড বা স্যুপের সঙ্গে একটু চিয়া বীজ খেয়ে দেখুন। মনখারাপের সমস্যা অনেকটাই কমবে। এই বীজে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। রোজ ১ চামচ করে এই বীজ খেলেই মিলবে উপকার।
মুরগির মাংস
মুরগির মাংসও কমাতে পারে অবসাদের ঝুঁকি। বাজার থেকে কেনার সময়ে পাঁজরের মাংস কিনে আনুন। এতে অনেক বেশি পরিমাণে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান, যা সেরোটোনিন উৎপাদনে সহায়তা করে। এতে ঘুম তো ভাল হয়ই। সেই সঙ্গে ভাল থাকে মনও।