প্রতীকী ছবি।
গত দেড় বছরের অতিমারির কবলে সকলে প্রায় ভুলতেই বসেছে করোনা ছাড়া অন্যান্য অসুখের কথা। কিন্তু ভারতবর্ষের মতো দেশে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, ষক্ষ্মার মতো রোগে প্রতি বছরই প্রাণ হারান অনেক মানুষ। সম্প্রতি রাজধানীতে বেড়েছে ডেঙ্গির সংক্রমণ। ডেঙ্গির সময়ে শরীর বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে। খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু জিনিস মাথায় রাখলে দুর্বলতা খানিক কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এই সময়ে কী খাবেন আর কী খাবেন না?
কী খাবেন
১) পেঁপেঁ পাতার রস:গবেষণা বলছে পেঁপেঁ পাতার রস অনুচক্রিকার সংখ্যা বাড়ায়। ডেঙ্গির ফলে শরীরে অনুচক্রিকার মাত্রা অস্বাভাবিক হারে হ্রাস পায়। তাই পেঁপেঁর রস এই সময়ে খুবই উপকারী। তা ছাড়া এতে পাপাইন ও কাইমোপাপাইনের মতো উপকারী এনজাইমও থাকে।
২) বেদানা:প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে বেদানায়। ফলে দেহের শক্তি বাড়ে, অনুচক্রিকার সংখ্যা বাড়াতেও সাহায্য করে এটি।
৩) দই: দৈনন্দিন খাবারে এই সময়ে দইয়ের মতো প্রোবায়োটিক রাখা খুব জরুরি। এর ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, দূষিত পদার্থও কমবে।
এই সময়ে খান ব্রকোলি, পেঁপেঁ পাতার মতো খাবার।
৪) নারকেল জল: জ্বরের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হিসাবে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেওয়া খুব স্বাভাবিক। এটি দেহে জলের ঘাটতিও মেটাবে, উপরন্তু পুষ্টিগুণ ও বিভিন্ন ইলেক্ট্রোলাইটে সমৃদ্ধ এই নারকেলের জল দৈহিক শক্তিও বাড়াবে।
৫) ব্রকোলি: ব্রকোলিতে প্রচুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন কে যা অনুচক্রিকা পুনরুৎপাদনে সাহায্য করে। অন্যান্য পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ ব্রকোলি। এই সময়ে প্রতিদিনের খাবারে অবশ্যই রাখুন এটি।
কী খাবেন না
১) ভাজাভুজি ও প্রসেস করা খাবার: ডেঙ্গির সময়ে হাল্কা খাবারের উপরে থাকাইআদর্শ। ভাজাভুজি ও প্রসেস করা খাবারে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। তাই এ ধরনের খাবার এই সময়ে এড়িয়ে চলুন।
এই সময়ে খাবেন না ভাজাভুজি ও প্রসেস করা খাবার।
২) ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার: ঝাল খাবারে পাকস্থলিতে অ্যাসিড উৎপাদন বে়ড়ে যায়, যা আলসারের আশঙ্কা তৈরি করে। আরোগ্য লাভের সময়ও দীর্ঘায়িত হয়। এই সময়ে যে কোনও ঝাল খাবার না খাওয়াই ভাল।
৩) চা-কফি: জ্বরের সময়ে সারা দিন বাড়িতে বসে থাকতে থাকতে মন বারবার চা-কফি জাতীয় পানীয়র দিকে চলে যেতেই পারে। কিন্তু সচেতন ভাবেই তা এড়াতে হবে। কারণ তা দেহে জলের ঘাটতি তৈরি করবে।