রাম-অর্চনা শেষে কী ধরনের খাবার খাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
‘রাম’ ধ্বনিতে আন্দোলিত গোটা দেশ। সোমবার অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনে সাজ সাজ রব। মন্দিরের গর্ভগৃহে হয়ে গেল ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র কাজ। দেশের তাবড় তাবড় নেতা, মন্ত্রী, বিভিন্ন জগতের শিল্পী থেকে শিল্পপতি— সকলেই হাজির হয়েছেন অযোধ্যায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে ‘রাম’অর্চনা। সেই উপলক্ষে অনেকেই উপোস করছেন। আবার অনেকে নিরামিষ খাচ্ছেন। কিন্তু শরীরের কথা মাথায় রেখেই লুচি, পরোটার মতো তেলে ভাজা খাবার খাবেন না বলেই স্থির করেছেন। তা হলে খাবেনটা কী?
১) সাবুদানা
পুজো পার্বনে ভাত-রুটি না খেলে অনেকেই সাবুর খিচুড়ি খেয়ে থাকেন। সাবুর মধ্যে যে ধরনের খনিজ রয়েছে, তা শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে দিতে পারে। তা ছাড়া যাঁদের হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য এই খাবার নিরাপদ।
২) দুগ্ধজাত খাবার
দুধ অনেকেরই সহ্য হয় না। তবে উপোস করলে টক দই, ঘোল, ছাঁচ খাওয়া যেতেই পারে। শারীরবৃত্তীয় নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য প্রয়োজন প্রোটিন। যা এই সব খাবার থেকে সহজেই পাওয়া যায়।
৩) বিভিন্ন রকম ফল
উপোস ভঙ্গ করার পর ফল খাওয়াই যায়। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজের জোগান দেওয়ার পাশপাশি শরীরে জলের অভাব পূরণ করতেও সাহায্য করে ফল।
৪) বিভিন্ন রকম বাদাম, বীজ
উপোস ভাঙার পরেই ভারী কিছু না খেয়ে অল্প অল্প করে নানা রকম বাদাম, বীজ খেতে পারেন। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং খনিজে ভরপুর এই বাদাম এবং বীজ সারা দিন ধরেই শরীরে শক্তির জোগান দিতে থাকে। ডায়াবিটিস থাকলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এই ধরনের খাবার।
৫) ডাবের জল
ডাবের জলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। অনেক ক্ষণ জল, খাবার না খেয়ে শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। তৎক্ষণাৎ শরীর চনমনে করে তুলতে ডাবের জল দারুণ কাজ করে।