উপোস করুন সঙ্গে রাখুন মৌরি ভেজানো জল। ছবি: সংগৃহীত।
রামমন্দির উদ্বোধন হচ্ছে অযোধ্যায়। তবে ‘রাম’ধ্বনি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে উৎসব। সশরীরে অযোধ্যায় পৌঁছতে না পারলেও নিয়মে কোনও ত্রুটি রাখছেন না ভক্তকুল। মনের ইচ্ছে পূরণে কেউ দন্ডি খেটেছেন, আবার কেউ রেখেছেন নির্জলা উপোস। মাসখানেক ধরে নিরামিষ খাবার খেয়ে, মাটিতে শুয়েও থেকেছেন অনেকে। তবে এত কিছুর ধকল তো শরীরের উপর এসে পড়বেই। তাই পুষ্টিবিদেরা বলছেন সকালে খালিপেটে মৌরি ভেজানো জল খেয়ে দিন শুরু করতে। কিংবা উপোস ভঙ্গ করার পর সাধারণ জল না খেয়ে মৌরি ভেজানো জল খাওয়া যেতেই পারে।
মৌরি ভেজানো জল খেলে আর কী কী উপকার হয়?
১) গ্যাস, অম্বল রোধ করে
রামলালার ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ উপলক্ষে অনেকেই নিরামিষ লুচি, পরোটা খাচ্ছেন। ফলে গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপার সমস্যায় ভোগা অস্বাভাবিক নয়। সারা দিন ধরে পেটের এই অস্বস্তি নিয়ে কাজ করা মুশকিল। মৌরি ভেজানো জল খেলে কিন্তু এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
২) অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর মৌরি ফ্রি র্যাডিক্যালের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। তা ছাড়া, মৌরির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খনিজ, যা শরীরকে বিভিন্ন প্রয়োজনে সাহায্য করে।
৩) ‘মর্নিং সিকনেস’ নিয়ন্ত্রণে রাখে
সারা দিন উপোস করে থাকলে অনেক সময়েই গা বমি, মাথা ঘোরার মতো লক্ষণ দেখা যায়। মৌরি ভেজানো জল খেলে এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
উপোস ভঙ্গ করার পর মৌরি ভেজানো জল খাওয়া যেতেই পারে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) আর্দ্রতা বজায় রাখে
নির্জলা উপোস করলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে। শরীরে পর্যাপ্ত জল না পৌঁছলে কিন্তু ভারী বিপদ। শুধু পেশিতে টান ধরা নয়, শারীরবৃত্তীয় নানা ধরনের কাজই রুখে যেতে পারে। তাই উপোস ভঙ্গ করার পর সাধারণ জল না খেয়ে মৌরি ভেজানো জল খেতে পারেন।
৫) শরীর চাঙ্গা রাখে
মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে সারা দিন ধরেই নানা রকম উৎসব-অনুষ্ঠান চলবে। খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে ঝিমিয়ে পড়লে চলবে না। শরীরকে তরতাজা রাখতে তাই বারে বারে মৌরি ভেজানো জল খেতেই পারেন।