কোন ৫ খাবার খেলেই শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়বে? ছবি: শাটারস্টক।
গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা, গোড়ালিতে কিংবা নানা অস্থিসন্ধি ফুলে গিয়ে অসহ্য ব্যথা— এই সব শারীরিক অসুবিধা অনেকের কাছেই নতুন নয়। কর্মব্যস্ত জীবন এবং খাওয়াদাওয়ায় ব্যাপক অনিয়ম যে সব অসুখ ডেকে আনছে, তার মধ্যে অন্যতম রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। খাবার হজমের পর শরীরে এই অ্যাসিড তৈরি হয়। মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন খেলে বা ওজন বেড়ে গেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড শরীরের অস্থিসন্ধি ও মূত্রনালিতে জমা হতে শুরু করে। জমতে থাকা ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টালের আকার নেয়। এটি গাঁটে ব্যথা ও প্রস্রাবের সংক্রমণ ডেকে আনে। এ ছাড়া, শরীরে এই অ্যাসিড বেশি মাত্রায় জমতে শুরু করলে কিডনিতে পাথরও জমতে পারে। লিভারেও সমস্যা দেখা যায়। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি, এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে।
মূলত হাড় এবং কিডনির উপরেই এই অ্যাসিডের প্রভাব মারাত্মক। খাওয়াদাওয়ায় একটু রাশ টানলেই এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব। ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, তার জন্য দৈনিক খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে কয়েকটি খাবার। সেগুলি কী কী?
১) স্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। ইউরিক অ্যাসিডে সুস্থ থাকতে রেড মিট, উচ্চ ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার না খাওয়াই ভাল।
২) রোজ মদ্যপান করেন? ইউরিক অ্যাসিড থাকলে মদ্যপানের অভ্যাসে লাগাম টানা ভীষণ জরুরি। অতিরিক্ত অ্যালকোহল শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩) চিনিযুক্ত কোনও নরম পানীয়ও খাওয়া যাবে না। এই সব পানীয়ে ফ্রুকটোজ় থাকে। এই ফ্রুকটোজ় ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই যে কোনও নরম পানীয়, হেল্থ ড্রিঙ্ক থেকে দূরে থাকাই ভাল। খুব বেশি মিষ্টি কোনও ফল, টিনবন্দি ফল এমনকি ড্রাইফ্রুট্সেও ভাল মাত্রায় ফ্রুকটোজ় থাকে। তাই এগুলিও এড়িয়ে চলতে হবে।
৪) ইস্টে থাকে পিউরিন যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ইস্ট রয়েছে এমন খাবার যেমন পাউরুটি কিংবা বেক্ড কোনও খাবার বুঝেশুনে খাওয়াই ভাল।
৫) প্যাকেটবন্দি কোনও খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। এতে অতিরিক্ত মাত্রায় নুন থাকে, যা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই সব খাবার এড়িয়ে চলুন।